জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা
অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন
-
সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে।
-
কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
-
দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের কোনো লুকোছাপা নেই।
-
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও (রূপরেখা) পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারকাজ শেষ করেই নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। তবে নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। অবশ্য সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে গতকাল রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথাগুলো বলেন প্রধান উপদেষ্টা। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২৪।
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে, সেটা নির্ভর করবে, কত তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি, আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।’
ভাষণের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের লাখ লাখ শহীদ এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র, শ্রমিক, জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সব শহীদকে সশ্রদ্ধ সালাম ও গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে স্মরণ করেন ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাঁরা আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন এবং যাঁরা ৯ দফা ও ১ দফা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, যাঁরা দেশকে এক হিংস্র স্বৈরাচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
প্রথম ১০০ দিন অতিক্রম করার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এক কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকারপ্রধান পালিয়ে গেলে দেশ সরকারশূন্য হয় সাময়িকভাবে। পুলিশ প্রশাসনও এ সময় সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে উদ্বেগজনক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বৈরশাসনে বিপর্যস্ত এই দেশকে সবাইকে মিলে পুনর্গঠন করতে হচ্ছে