যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নোবিপ্রবির শিক্ষিকা আহত, ছেলে নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নোবিপ্রবির শিক্ষিকা আহত, ছেলে নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নোবিপ্রবির শিক্ষিকা আহত, ছেলে নিহত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষিকা ড. সালমা আক্তার (৩৩) ও তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিন (৩২) যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে তাদের ১১ মাস বয়সী একমাত্র ছেলে অনিন্দ।

বর্তমানে ড. সালমা আক্তার স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার স্বামীও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
ফল: যুক্তরাষ্ট্র ৭ উইকেটে জয়ী।

মঙ্গলবার (২৮ মে) টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি জাপানে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে যান। তিনি সেখানকার সান আন্তিনো শহরে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন।

কোষাধ্যক্ষ নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, সালমা আক্তারের এমন দুর্ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। তার স্বামীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে বের হন সালমা আক্তার। মঙ্গলবার বাসায় ফেরার পথে সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক ছেলে অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি সালমা আক্তারকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সালমা আক্তারের সহকর্মী ও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা পপি দেবনাথ বলেন, ‘সালমার সঙ্গে আমার সবসময় কথা হতো। সে আমাকে জানিয়েছিল ঘুরতে বের হবে। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তার সন্তান অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। সালমাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।’

নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ব্যাচের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালে জাপানে পিএইচডি করতে যান। সেখান থেকে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডক করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সালমা আক্তারের এমন দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। তার সুস্থতা কামনা করছি।Jagonews24 Google News Channel

এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, সালমা আক্তার ও তার স্বামী সাইফুল আমিনের সুস্থতা কামনা করছি। আমরা সবসময় তার পাশে আছি।