গার্মেন্ট কারখানাগুলোয় টানা অস্থিরতার কারণ কী?

গার্মেন্ট কারখানাগুলোয় টানা অস্থিরতার কারণ কী?
গার্মেন্ট কারখানাগুলোয় টানা অস্থিরতার কারণ কী?
মোহাম্মদ আলী হায়দাদ:

গার্মেন্ট কারখানাগুলোয় টানা অস্থিরতার কারণ কী?

ক্যাপশান,গাজীপুর আশুলিয়ার অনেক কারখানাতেই অস্থিরতা চলছে

সরকারের নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঘাটতি, ঝুটসহ কারখানা সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, কিছু কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তৎপরতা, বেতন ভাতা সংক্রান্ত সমস্যা এবং বাইরের ইন্ধনসহ বিভিন্ন কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে অস্থিরতা বন্ধ হচ্ছে না।

কয়েকটি কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও কারখানা সংশ্লিষ্ট স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।

বিজেএমইএ ও পোশাক খাতের নেতারা বলছেন গত কিছুদিনে অন্তত ২৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি খোলার প্রক্রিয়া চলছে। যদিও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী দু মাসে আরও কিছু কারখানা বন্ধ হওয়ারও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।

এ অবস্থায় চাকুরিতে নিয়োগ ও পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের পর অন্তত দশটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে হয়েছে বুধবার।

অন্যদিকে, একটি কারখানার শ্রমিকরা দুদিনেরও বেশি সময় আশুলিয়ায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর সেনাবাহিনীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আজ তা প্রত্যাহার করেছে।

এর আগে গত মাসেও বিভিন্ন দাবিতে আশুলিয়া অঞ্চলের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। শ্রমিকদের টানা বিক্ষোভের জের ধরে শেষ পর্যন্ত তাদের ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে সম্মত হয় মালিকপক্ষ। ২৪শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মালিক ও শ্রমিকেরা একটি যৌথ ঘোষণাও দিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছিলো, দেশের পোশাক শিল্পের সব কারখানার শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা বাড়ছে। টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতাও (নাইট বিল) বাড়বে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যমান ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিজেএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বিবিসি বাংলাকে বলছেন পাঁচই অগাস্টের পট পরিবর্তনের পর শিল্প জোনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছে পোশাক খাত।

“আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়েও ঘাটতি আছে। এছাড়া লেবার লিডার, রাজনৈতিক দল, বাইরের ইন্ধনসহ বিভিন্ন ইস্যু আছে। তবে আশা করি আগামী দশদিনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার বলছেন সংকট নিরসনে নেয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে শ্রমিকদের যথাযথ অবহিত করায় ঘাটতি আছে।

“একই সাথে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে কোন একটি পক্ষ চাচ্ছে না যে পরিস্থিতি শান্ত হোক। এতে রাজনৈতিক মোটিভও