পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে কী আলোচনা হলো ‍যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে?

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে কী আলোচনা হলো ‍যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে?
পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে কী আলোচনা হলো ‍যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে?

অনলাইন্ডেস্ক:

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে কী আলোচনা হলো ‍যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে?

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতি‌নি‌ধিদ‌লের স‌ঙ্গে বৈঠ‌ক করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরা‌নোর বিষ‌য়ে ঢাকা সফররত মা‌র্কিন প্রতি‌নি‌ধিদ‌লের স‌ঙ্গে আলোচনা ক‌রে‌ছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতি‌নি‌ধিদ‌লের স‌ঙ্গে বৈঠ‌ক করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, আমরা আজকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা। দ্বিতীয় বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারস্টিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যে চুক্তি আগে হয়েছিল সেটার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। তার মানে আরো বাড়তি টাকা তারা দেবে

পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা চেয়েছি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো সব আলাপ হয়েছে। আমরা পরে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা আসে। দিল্লি সফর শেষে এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু

এদিকে, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির আওতায় এই অর্থ দেওয়ার কথা জানান ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা এখন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করব। এ চুক্তি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

অঞ্জলি কৌর বলেন, এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। এর মানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা। আমরা স্বাস্থ্য, শাসনব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তারা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ এখানে মূল অগ্রাধিকার। আমি ড. ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা সামনে একসঙ্গে আরও কাজ করার প্রত্যাশা করছি।

তিনি জানান, এটি কোনো অ্যামেন্ডমেন্ট নয়, এটি নতুন চুক্তি। এটি ২০২৩ অর্থবছরের জন্য। সুতরাং এটি নতুন অর্থায়ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য