প্রপ্রতিবন্ধীদের উৎপাদিত ‘মুক্তা পানি’র ব্যবহার বাড়াতে জোর দিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী
প্রতিবন্ধীদের উৎপাদিত ‘মুক্তা পানি’র ব্যবহার বাড়াতে জোরদাবি দিলেম মন্ত্রী
সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের উৎপাদিত মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার গুণগত মানে ভালো হওয়ায় সারাদেশে এর চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কম। এবার গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এই পানির প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে এর ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দিলেন নতুন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফলে এর উৎপাদন বাড়ার আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের মৈত্রী শিল্প প্লান্ট পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সরকারিভাবে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবন্ধীরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন বলে জানিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অনেকে উদ্যোক্তাও হচ্ছেন। তাদের উৎপাদিত মুক্তা পানি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পাওয়া যাচ্ছে। তাই এর ব্যবহার আরও বাড়ানোর জন্য আমরা উৎসাহিত করছি।
প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। যদিও প্রশিক্ষণের জন্য কিছু প্রশিক্ষকের অভাব আছে। চেষ্টা করব আগামীতে প্রশিক্ষণ বাড়াতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় সম্পদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন.
সমাজকল্যাণমন্ত্রী এদিন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দ্বারা উৎপাদিত মুক্তা পানি ও প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ব্রেইল প্রেস ও কৃত্রিম অঙ্গ উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে বোতলজাত পানি পাওয়া যাচ্ছে- কিনলে, মাম, অ্যাকুয়াফিনা, স্পা, প্রাণ, জীবন, ডেইলি, ফ্রেশ ও ক্রিস্টাল। কিন্তু দেখা মেলে না সরকারি মুক্তা পানির।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করপোরেট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত বোতলজাত পানি আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেলেও সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত মুক্তা পানি কেন পৌঁছে না- এ নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। মুক্তা পানিকে সংকুচিত রাখার পেছনে কেউ কেউ ইঙ্গিত করছেন বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। মুক্তা পানি সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন।
তবে দীপু মনি মুক্তা পানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ায় আশা করা হচ্ছে এর উৎপাদনও বাড়বে। বর্তমানে দৈনিক মাত্র ৫০ হাজার লিটার উৎপাদন হয় মুক্তা পানি