কারাগার থেকে পালাল ২ হাজার বন্দি

কারাগার থেকে পালাল ২ হাজার বন্দি
কারাগার থেকে পালাল ২ হাজার বন্দি

প্রথমসময় ডেস্ক;

কারাগার থেকে পালাল ২ হাজার বন্দি

কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন প্রায় দুই হাজার বন্দি। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। বিদ্রোহীরা অস্ত্রাগার ও কারাগারে হামলা করেছে। এর মধ্যে পালিয়ে গেছে এসব বন্দি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবাক করা এমন ঘটনা ঘটেছে অফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে। রোববার দেশটির সামরিক ব্যারাক, অস্ত্রাগারসহ একাধিক স্থানে হামলা হয়েছে। এ সময় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ সেনা। এ ছাড়া হামলার পর কারাগারের দরজা খোলা পাওয়া গে

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাক, একটি কারাগারসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা করেছে। এ সময় দেশটির কারাগার থেকে ২ হাজার বন্দি পালিয়ে গেছেন।

দেশটিতে এ দিন ভোরে রাজধানী ফ্রিটাউনে গোলাগুলির মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা আতঙ্ক ছড়ায়। এ ঘটনার জন্য দেশটির সরকার বিদ্রোহীদের ওপর অভিযোগ করে আসছে। বলা হয়েছে, আমরা তাদের খোঁজ করছি। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের কারাগারে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ইসা বানগুরা বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১৩ জন সেনাসদস্য রয়েছেন। এছাড়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন হামলাকারীও নিহত হয়েছেন। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতার সময়ে পাডেমবা রোড কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা হয়েছে। সোমবার কারাগার পরিদর্শনের সময় একজন কারাকক্ষের দরজা খোলা অবস্থায় পেয়েছেন।

সিয়েরা লিওন সংশোধনাগার সংস্থার মহাপরিচালক কর্নেল শেখ সোলাইমান মাসাকুই বলেন, রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে হামলাকারীরা কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করে। পরে তারা সামনের ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাডা বায়ো জানিয়েছেন, সহিংসতায় জড়িত বেশিরভাগ সামরিক লোকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের জন্য অভিযান চলছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বানগুরা বলেন, সেনাদের মধ্যে বেশিরভাগ সদস্য সরকার ও প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুগত নয়। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে এ হামলা চালিয়েছিল। এদিন রাজধানীর একটি সেনাছাউনি ও অস্ত্রাগারে লুটের চেষ্টা করে। এরপর শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।