তোরেসের হ্যাটট্রিকে বার্সার রোমাঞ্চকর জ

তোরেসের হ্যাটট্রিকে বার্সার রোমাঞ্চকর জ
তোরেসের হ্যাটট্রিকে বার্সার রোমাঞ্চকর জ

স্পোর্টস ডেস্ক

তোরেসের হ্যাটট্রিকে বার্সার রোমাঞ্চকর জয়

রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এরপর ইস্কোর জোড়া গোলে সমতায় ফেরে বেতিস। কাতালান দলটির সামনে জাগে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা। তবে শেষ সময়ের দুই গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লা লিগার শিরোপাধারীরা।
তবে শেষ পর্যন্ত পা হড়কায়নি বার্সেলোনা। ৯০তম মিনিটে জাও ফেলিক্স আর ৯২তম মিনিটে ফেররান তোরেসের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা গোলে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে লিগ টেবিলের তিনে উঠে এলো বার্সেলোনা। ২০ ম্যাচে ১৩ জয়ে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ১৬ জয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। এরপর ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জিরুনা। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাও। আর ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
রিয়াল বেতিসের ঘরের মাঠে ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় গোল হজম করতে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে ইস্কোর ক্রস থেকে আসা বল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস এনরিকে জালের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দিলে রক্ষা পায় বার্সা। এরপরেই ২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ইলকাই গুনদোয়ানের শটে বল বেতিসের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে যায় বক্সে পেদ্রির কাছে। তার পাস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান অরক্ষিত তোরেস।
১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেররান তোরেস। ইয়ামাল সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। বাইলাইনের কাছ থেকে তার শট পোস্টে লাগার পর বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান তোরেস।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনার বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বেতিস। ম্যাচের ৫৬ থেকে ৫৯ এই তিন মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করেন ইস্কো অ্যালার্কন। এতেই সমতায় ফেরে রিয়াল বেতিস।
দুই গোল হজমের পরেই পরিবর্তন আনেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। লেভান্ডোফস্কিকে তুলে নিয়ে ভিতর রককে মাঠে নামান জাভি। এরপর মাঠে নামানো হয় জাও ফেলিক্সকে। ৮১তম মিনিটে বদলি নামা ফেলিক্স শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার ত্রাতা হয়ে আসেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে তোরেসের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে চমৎকার নিচু শটে পোস্ট ঘেঁষে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
আর যোগ করা সময়ে হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন তরেস। যেখানে বড় অবদান রাখেন ইয়ামাল। তার দারুণ থ্রু বল ধরে চিপ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড