তিনি বলেছেন, গাইবান্ধার ত্রিমোহনী এলাকার ত্ব–হার বন্ধু শিহাবের বাসায় ছিলেন তারা।
আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ত্ব-হা নিখোঁজের ঘটনায় দুটি জিডি হয়েছিল। তার মা ও নিখোঁজ আমিরুদ্দিনের ভাই ফয়সাল জিডি দুটি করেছিলেন। এরপর থেকেই পুলিশ তাদের খোঁজে তদন্ত করছিল।
তিনি বলেন, আজ আমরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি চারতলা মসজিদের আবু ত্ব-হা তার প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে আছেন। সেখান থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আবার ফেরতও আসেন। ঘটনার দিন গাবতলী থেকে গাইবান্ধা চলে আসেন। গাইবান্ধার ত্রিমাথায় তার এক বন্ধু সিয়ামের মায়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।
পুলিশের উপকমিশনার বলেন, তার সফরসঙ্গী আমির উদ্দিনের খোঁজও পেয়েছি। তাকেও ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবু ত্ব-হা আদনান। তার মা রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের আট দিন পর পাওয়া গেল তাকে। তিনি সপরিবার রংপুর শহরে থাকেন। শুক্রবার দুপুরে তার শ্বশুরের বাসায় তাকে পাওয়া যায়।
সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবু ত্ব-হাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, বিকেল ৩টার দিকে তাকে রংপুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
১০ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি মসজিদে খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রংপুর থেকে বিকেল চারটার দিকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন তার দুই সঙ্গী আবদুল মুহিত ও ফিরোজ। এ ছাড়া গাড়িচালক হিসেবে ছিলেন আমির উদ্দিন ফয়েজ। রাত ২টা ৩৬ মিনিটে আদনানকে তার স্ত্রী ফোন দিলে তিনি বলেন, তিনি এখন ঢাকার গাবতলীতে আছেন। মোবাইলফোনের চার্জও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এরপর থেকে আদনানসহ সবার মোবাইলফোনই বন্ধ ছিল