দেশে নাটক, গান, চিত্রকলা বন্ধ হলে কী থাকে দেশে
সমাবেশস্থলে উপস্থিত একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, শুরুতে হামলাকারীরা কয়েকজন ছিলেন। পরে আরও অনেকে আসেন। তাঁরা ইটপাটকেলও ছুড়ে মারেন।
এর আগে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে মামুনুর রশীদ বলেন, যাঁরা মঞ্চে নাটক করেন, তাঁরা গাঁটের পয়সা খরচ করে নাটক করেন।
এটা স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে ওঠা একটি শিল্প। হৃদয়ের কথা, মানুষের কথা বলার দায়িত্ববোধ থেকেই নাট্যকর্মীরা কাজটি করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, ২ নভেম্বর যা হয়েছে, তা ১৮৭৬ সালে ঘটেছিল। কলকাতায় ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্চে উঠে নাটক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কারণ, তা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ছিল; কিন্তু এখানে তো সরকারের বিরুদ্ধে কিছু হচ্ছে না।
শিল্পকলার সামনে নাট্যকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশে ছুড়ে মারা হলো ডিম
সমাবেশে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী ইনাম বলেন, দেশের থিয়েটারগুলো যেন নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে, এ ব্যাপারে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।
নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান অধ্যাপক মলয় ভৌমিক। নিজ দলের নাটক বন্ধ হওয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে দেশ নাটকের দলপ্রধান নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, অনুকম্পা নয়, সঠিক তদন্ত করতে হবে। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ প্রমুখ