স্কটল্যান্ডে হোঁচট ফেভারিট ইংল্যান্ডের

স্কটল্যান্ডে হোঁচট ফেভারিট ইংল্যান্ডের
স্কটল্যান্ডে হোঁচট ফেভারিট ইংল্যান্ডের
স্পোর্টস ডেস্ক

 ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হোঁচট খেতে হয়েছে ইংলিশদের। খাতা-কলমে স্কটিশদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ইংলিশরা ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামে। তবে মাঠের খেলায় স্বাগতিকদের এক চুল ছাড় দেয়নি স্কটিশরা। সমানে সমান লড়াই করেই শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে স্কটল্যান্ড। গোটা ম্যাচের ৬০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে মোট ১১টি শট নেয় ইংল্যান্ড, যার মধ্যে মাত্র একটি ছিল গোল বরাবর। বিপরীতে মাত্র ৪০ শতাংশ বল দখলে রেখেও ইংলিশদের থেকে দুটি শট বেশি নেয় স্কটল্যান্ড আর গোল বরাবরও শট নেয় ইংলিশদের চেয়ে একটি বেশি। গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে স্টার্লিং-কেইনরা কিছুটা এগিয়ে থাকলেও খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না স্কটল্যান্ড। পুরো ম্যাচে মোট ৮টি গোলের সুযোগ তৈরি করে সাউথগেটের শিষ্যরা। অন্যদিকে পাঁচটি সুযোগ তৈরি করে স্কটিশরা।

স্কটল্যান্ডে হোঁচট ফেভারিট ইংল্যান্ডের

তবে পরিসংখ্যান যাই হোক না কেন মাঠের খেলায় ইংলিশদের কিছুটা দুর্ভাগ্য বলতেই হয়। না হলে ম্যাচের ১১ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। জন স্টোন্সের আকাশসম উচ্চতায় লাফিয়ে করা হেড গোলপোস্ট কাঁপিয়ে বেরিয়ে গেলে হতাশায় ভাসে ইংলিশ শিবির।

এরপর ম্যাচের সময় ৩০ মিনিট ছুঁতে না ছুঁতেই দুর্দান্ত এক আক্রমণ করে স্কটল্যান্ড। অ্যান্ড্রিউ রবার্টসন বাঁ দিক থেকে ভাসানো ক্রসে দূর পোস্টে থাকা সতীর্থ ও'ডোন্নেল্লকে খুঁজে নেন। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে ও'ডন্নেল্ল জোরালো শট নেন গোল বরাবর। তবে তাঁর শট রুখে দিয়ে ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে পড়তে দেননি জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর প্রথমার্ধে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউই

বিরতির পর ম্যাচের চিত্র বদলে যেতে শুরু করে। ইংলিশরা আরও বেশি বল দখলে রেখে আক্রমণ সাজাতে শুরু করে। সুযোগও আসে বিরতি থেকে ফেরার মাত্র তিন মিনিটের মাথায়। লুক শ'র কাছে থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক শট নেন মেসন মাউন্ট। তবে তাকে হতাশ করেন স্কটিশ গোলরক্ষক মার্শাল

৬২তম মিনিটে রবার্টসনের ক্রস ডি-বক্সের ভেতর পেয়ে শট নেন ডাইকস, তবে তাঁর শট রুখে দেওয়ার জন্য জায়গা মতো ছিলেন টিরিওন মিংস। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন স্কটল্যান্ডের অ্যাডামস। রবার্টসনের হাওয়ায় ভাসানো দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে দূর পোস্টে ফাঁকায় বল পান অ্যাডামস। সময় পান ঠান্ডা মাথায় শট নেওয়ারও কিন্তু ভলিতে বল পাঠিয়ে দেন গ্যালারিতে। আর তাতেই দুর্দান্ত আরও এক সুযোগ হাতছাড়া হয় স্কটিশদের।

ম্যাচের শেষ দিকে ইংলিশরা বল দখলে রেখে আক্রমণ সাজালেও শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি। তাতেই গোলশূন্য ড্র'তেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।

ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যকার ড্র'তে লাভবান হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। গ্রুপ ডি'র শীর্ষস্থান দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে চেকদের দখলেই। আর সমান ম্যাচে ইংলিশদেরও চার পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তাদের অবস্থান দুইয়ে। অন্যদিকে এক ড্র ও এক হারে এক পয়েন্ট নিয়ে তিনে ক্রোয়েশিয়া। আর সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চারে স্কটল্যান্ড।

আগামী মঙ্গলবার (জুন ২২) ইংল্যান্ড লড়বে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ওয়েম্বলি, লন্ডনে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। একই সময় ক্রোয়েশিয়ার লড়াই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাম্পডেন পার্ক, গ্ল্যাসগোতে।