ভারতে ভোটাধিকার আছে বলেই মোদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না’
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
‘ভারতে ভোটাধিকার আছে বলেই মোদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না’
ঢাকা: ভারতে ভোটাধিকার আছে বলেই সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের নেতা নরেন্দ্র মোদি একক সংগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (০৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে যে দানব বাংলাদেশের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, নির্বাচনি ব্যবস্থা ধবংস করে দিয়েছে, সব অর্জন ধবংস করে দিয়েছে, তাকে সরাতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না। আজকে দেখেন, ভারতে ভোটের অধিকার আছে বলেই তারা অন্তুত এই যে মোদি (নরেন্দ্র মোদি) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। ভোটাধিকারের সেই অবস্থাটা ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষজন ভোট দিয়ে যাতে তার নিজস্ব পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, সংগ্রাম-লড়াই করতে হবে। সর্বোপরি দেশের মানুষকে মুক্ত করবার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। এই সংগ্রাম-লড়াই আমার জন্য নয়, এখানে যারা মঞ্চে বসে আছেন তাদের জন্য নয়। এই সংগ্রাম দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সংগ্রামের ডাকে সাড়া দিয়ে দল-মতনির্বিশেষে সবাই মিলে গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।’
দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। আপনারা খেয়াল করেছেন কিনা জানি না। সেটা হচ্ছে যে, প্রাইমারি স্কুলের যে টেক্সক্ট বই, সেখানে এমন সব কারিকুলাম আনছে, যা আমার কালচারের বিরুদ্ধে, আমাদের কৃষ্টির বিরুদ্ধে, আমার ধর্মের বিরুদ্ধে। আমরা বড় হয়েছি, ইসলামিক চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে। আজকে সেখান থেকে সম্পূর্ণভাবে বের করে নিয়ে ধর্মহীন একটা রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন যে, সাদা চামড়ার লোকেরা নাকি তাকে বলেছে যে, এখানে কোনো একটা দেশের এয়ারবেইস বানাতে। অর্থাৎ সেখানে তাদের জঙ্গি বিমান নামবে এয়ার বেইস হিসেবে তারা ব্যবহার করবে আর বাংলাদেশের একটা অংশ চট্টগ্রাম এবং মিয়ানমারের একটা অংশ নিয়ে নতুন একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র তৈরি করবার তারা চেষ্টা করছে।’
‘আমি গতকাল বলেছি, আজকে আবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে এই মুহুর্তে জনগণের কাছে তার প্রকৃত ব্যাখ্যা তুলে ধরা। কারা চাইছে এবং কেন চাইছে? কেন তা এতোদিন পরে প্রকাশ করছেন। এটা আমরা জানতে চাই। কারণ, এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। আপনাদের হাতে স্বাধীনতা আর কোনোভাবেই নিরাপদ না’— বলেন মির্জা ফখরুল।
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা মোহা. কাজী আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম জামাল, আবদুল বারী ড্যানি, মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক প্রমুখ