নিজের চুরি হওয়া স্মার্টফোন খুঁজতে গিয়ে নিঞ্জেই নিখোঁজ।
পরদিন রাব্বী বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে তাঁর চুরি হয়ে যাওয়া মুঠোফোনে কল করলে সাজ্জাত ফোনটি ধরেন। তাঁকে তাঁর বাড়ি মির্জাপুরে এসে ফোনটি নিয়ে যেতে বলেন। পরে রাব্বী ওই চুরি হওয়া ফোন আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। রাব্বীর বাবা সাজ্জাতের বাড়িতে ফোন দিলে সাজ্জাতের পরিবার বলে, রাব্বী এ বাড়িতে আসেনি। এরপর থেকে রাব্বীর পাশাপাশি সাজ্জাতকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার ছেলে হারিয়ে যায়নি। আমার আপন ভাগনে সাজ্জাত হোসেন (২৮) একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে আমার ছেলেকে কৌশলে অপহরণ করেছে। থানায় অপহরণ মামলা করতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে জিডি নেয়। পাঁচ দিন হয়ে গেলেও আমার ছেলেকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।’সাজ্জাত হোসেনের বাবা নাজিম উদ্দিন প্রথম সময়কে বলেন, ‘আমার ছেলে সাজ্জাত হোসেন এখন আগের চেয়ে ভালো। সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। তার নামে থানায় যেসব মামলা আছে, সেগুলো ষড়যন্ত্রমূলক। রাব্বীকে আমার ছেলে অপহরণ করেনি। রাব্বী হয়তো নিজে থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, আখতারুজ্জান রাব্বীর বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। তার বাবার করা অপহরণের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। রাব্বীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে তার মুঠোফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ওই ফোন উদ্ধার করতে পারলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব