এবার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

এবার  রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
এবার  রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

 

facebook sharing button

twitter sharing button

ঢাকা: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবাসাইটে বৃহস্পতিবার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারবে না বুঝতে পেরে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে।

ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা বার্মা, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের অন্য কোথাও এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা করেছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সরকারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক ও মানবিক সহায়তার অপরিহার্য উপাদান হিসেবে, আমরা বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছি, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে পারে।

তবে কতজন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে সে ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ব্লিংকেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের এবং বার্মার জনগণকে তাদের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের সাধনায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার অগ্রগতি, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি এবং বার্মার সকল ব্যক্তির মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করার মাধ্যমে তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন, ‘একইভাবে আমরা বার্মার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশকে সমর্থন করব।’ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। এছাড়া গত পাঁচ বছরে আরও অনেক রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয় বাংলাদেশে। সব মিলে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১২ লাখের বেশি।

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য বিভিন্ন বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নানা দেশ আশ্বাস দিলেও এই ইস্যুতে দৃশ্যমান কোনো ফল এখনও আসেনি।

এদিকে জাপানও আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি