বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না: ওবায়দুল কাদের
রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা: রাজনীতিতে ভালো মানুষেরা আসতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতিক তারা রাজনীতিকে ভালো মানুষদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে পারিনি। যে কারণে ভালো, শিক্ষিত, সৎ এবং যোগ্য মানুষেরা রাজনীতির ধারে কাছে নেই। আমরা যারা রাজনীতি করি এই ব্যর্থতার দায় আমাদের স্বীকার করতেই হবে।
রোববার (৮ জানিয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তন জাতীয় পার্টি (জেপি)র সম্মেলনে বিশেষ অতিথির হিসাবে তিনি এ কথা বলেন
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। সভাপতিত্ব করেন জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ অন্যরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৭৫-এর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংসতম ঘটনা। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনীতি উল্টো পথে হাটা শুরু করে। বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতি বিপ্লব হয়ে গেল। তারপর দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রের দেওয়াল উঠে গেল। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনা উঁচু দেয়ালকে আরও উঁচুতে তুলল।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন করলেও আমরা রাজনীতিতে কোনো সেতু নির্মাণ করতে পারিনি। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার, আমাদের দেশে এটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।’
নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়, আর নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে বলেও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে তাই। এত ডিভাইসিং এত পোলারাইজড আমাদের রাজনীতিতে। এ জন্য তো আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’
একই অবস্থা ছাত্র রাজনীতির। সুনামের ধারায় আজকে ছাত্র রাজনীতি নেই বলেও আক্ষেপ করেন ওব
জোট শরিকদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয় এখনো সুসংহত নয়। এই বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
‘আমরা অভ্রান্ত কেউ নই। ভুলত্রুটি আমাদের সবার আছে। কিন্তু তারপরও এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে এই দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, এই দেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে; ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। এটা হল বাস্তবতা। কাজেই মান-অভিমান সবকিছু ভুলে আমরা একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত যারা আন্দলিত যারা তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সমন্বিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।