আ'লীগের জাতীয় সম্মেলন সাধারণ সম্পাদক কাদেরই থাকছেন নাকি নতুন মুখ
আ'লীগের জাতীয় সম্মেলন
সাধারণ সম্পাদক কাদেরই থাকছেন নাকি নতুন মুখ
আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন আসছে না- এটা নিশ্চিত হয়েই আছে। টানা দশমবারের মতো দলীয়প্রধানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তবে আলোচনার কেন্দ্রে এখন সাধারণ সম্পাদক পদ। এই পদে কে আসছেন- এ নিয়ে সবখানেই কৌতূহল। টানা তৃতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদেরই সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন, নাকি নতুন কাউকে এই পদে দেখা যাবে- সেটা নিয়েও নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলছে। চলছে চুলচেরা বিশ্নেষণ।
এমন প্রশ্নের জবাব নিয়ে আজ শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। 'উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে'- এই স্লোগান নিয়ে আয়োজিত হবে এই সম্মেলন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রায় 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পূরণের পর এবারের সম্মেলন থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার প্রত্যয়ও তুলে ধরা হবে।
আরেকদিকে, জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলে নতুন গতি আনার আলোচনাও রয়েছে। রয়েছে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসীন হওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে সর্বাত্মক নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উপযোগী নতুন ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যও রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এবারের জাতীয় সম্মেলন এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এক সম্মেলন হিসেবে আখ্যা পেয়েছে।
দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির এই সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে। যদিও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে এবারের জাতীয় সম্মেলন অনেকটাই সাদামাটাভাবে আয়োজিত হচ্ছে। বরাবর দু'দিন ধরে আয়োজিত হলেও এবার এক দিনেই শেষ করা হবে সম্মেলন। সাদামাটা আয়োজন হলেও নেতাকর্মীর উপস্থিতি কম থাকছে না। বরং এবারও ঢল নামবে সারাদেশের তৃণমূল থেকে আসা নেতাকর্মীর।
যত কৌতূহল সাধারণ সম্পাদক নিয়েই :১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও পুরোনো একটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে এবারও শেখ হাসিনাই বহাল থাকছেন। তিনি অবসরের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এটি মানতে নারাজ। এ কারণে আজকের সম্মেলন থেকে এবারও টানা ৯ বারের সভাপতিকে এবার দশমবারের মতো দলীয়প্রধানের দায়িত্ব নিতেই হচ্ছে।
তবে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদক নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা, কৌতূহল। এখন পর্যন্ত দলীয় সভাপতির 'সর্বোচ্চ আস্থায়' থাকা টানা দুই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও স্বপদে আসছেন- এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
তবে যাকে ঘিরে এত আলোচনা, সেই ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার জাতীয় সম্মেলনের সর্বশেষ প্রস্তুতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আই এম নট এ পারফেক্ট লিডার। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের ভুলত্রুটি হতে পারে। বড় দলে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও কিছু থাকবে।' অবশ্য 'দায়িত্ব বদলালেও' দলের জন্যই কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তবে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার 'আকস্মিক চমক' হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ। সে ক্ষেত্রে নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কয়েকজন নেতার বিষয়ে জোরালো আলোচনা রয়েছে। সেটা হলে দলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতিমণ্ডলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে কাউকে বেছে নিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে, গতকাল রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক পদের আলোচনা ওবায়দুল কাদের এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আলোচনায় আরও রয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নামও।
দলীয় সূত্রগুলো আরও বলছে, ৮১ সদস্যের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদেও খুব বেশি রদবদল আসার সম্ভাবনা নেই। কেবল কয়েকটি পদ থেকে নিষ্ফ্ক্রিয় ও বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে তাঁদের স্থলে কিছু নতুন মুখ আসবে। কয়েকজনের পদ বদল হতে পারে। কেউ কেউ পদোন্নতিও পেতে পারেন। তার সংখ্যাও খুব বেশি হবে না। দলের 'থিঙ্ক ট্যাঙ্ক' হিসেবে বিবেচিত ৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। গত তিন বছরে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা নেতাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদগুলোই কেবল পূরণ করা হতে পারে।
যা থাকছে সম্মেলন সূচিতে :প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এ সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন মঞ্চের দু'পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরাও।
উদ্বোধন শেষে আধাঘণ্টার সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই সম্মেলনের 'থিম সং' পরিবেশিত হবে। সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য। উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদনসহ গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রের সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেবেন কাউন্সিলররা। এর পরই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিল অধিবেশন শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।
আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেটসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। বিএনপির তিন নেতাসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের এই অধিবেশনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী ও নাগরিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ ১৫ হাজার বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিও সেখানে আসবেন। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত থাকবেন।
সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বর্তমান কমিটির তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর। গত ২৮ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ২৪ ডিসেম্বর ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়।
প্রস্তুত সম্মেলন মঞ্চ :আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ২২তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এবং ১১টি উপকমিটির মাধ্যমে এ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সম্মেলন মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাজসজ্জা শেষ হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পদ্মা সেতুর ওপর নৌকার আদলে তৈরি ৮০ ফুট বাই ৪৪ ফুট দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মূল মঞ্চের উচ্চতা হবে ৭ ফুট। সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা মঞ্চ। আগত ২৫ হাজার অতিথিকে পাটের ব্যাগ উপহার দেওয়া হবে, যাতে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-সংবলিত একটি স্মরণিকা, শোক প্রস্তাব, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভাষণ থাকবে। সম্মেলনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরতে এর মধ্যেই একটি ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের মূল স্লোগান ছাড়াও 'আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ' লেখা থাকবে ডিজিটাল ব্যানারে। সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দলীয় উদ্যোগেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যয় সংকোচনের কারণে এবারের সম্মেলনে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা গত সম্মেলনের তুলনায় ৩০ লাখ টাকা কম।
যেসব সংশোধনী আসছে গঠনতন্ত্রে :এবারের সম্মেলনে দলীয় গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রে খুব বেশি সংশোধনী আসছে না। দলের কেন্দ্র থেকে সব সাংগঠনিক ইউনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণসংযোগবিষয়ক সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবিলাবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টির প্রস্তাব রয়েছে। গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে মহিলা শ্রমিক লীগকে দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। দলের ঘোষণাপত্রে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ, জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচনে আসন সংখ্যা বাড়ানোসহ নানা প্রস্তাবও রয়েছে।
দল ঢেলে সাজানোর চ্যালেঞ্জ :এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে তিনি দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি তৃণমূল সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বত্র পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ ইমেজের নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলেছেন, নিয়েছেন গতি আনার উদ্যোগ। জাতীয় সম্মেলনেও একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা দলটির সামনে রয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত উন্নয়ন এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জও।
এ সম্মেলনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের তীক্ষষ্ট নজর থাকবে আওয়ামী লীগের ওপরে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশবাসীর মধ্যে স্বস্তির পরশ ছুঁয়েছে। দলের আগামী দিনের নেতৃত্ব সরকারের সহযোগী হয়ে এই কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে- এমনটিই প্রত্যাশা সবার। পাশাপাশি বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের পটভূমিতে দেশে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সংশয় ও তাদের আন্দোলন, বৈশ্বিক কারণে অর্থনৈতিক সংকট এবং হত্যা-খুনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ব্যাংকিং খাতের সমস্যা, সরকারি দলসংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রভৃতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে নতুন নেতৃত্ব এগুলোর অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে দেশে সত্যিকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হবে- এমনটিও আকাঙ্ক্ষা দেশবাসীর