বাংলাদেশের। বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের
বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের
টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারকে মানবাধিকার ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে বিরোধীমতের দমনপ্রবণতা বন্ধ করে রাজনৈতিক সংলাপ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে মানবাধিকার ইস্যুতে বড় ধরনের সংস্কার আনার তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘ।
বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব প্রকাশ করে নির্বাচন বয়কট করেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছি, যেখানে তাদের কথিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দ্রুত এবং স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছি।
বিবৃতিতে আর বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা শঙ্কিত। এটি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে।
আমরা সরকারকে মানবাধিকার সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে, মৌলিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অবাধ ও নিরাপদ প্রয়োগের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য অনুরোধ করছি, বলেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে যাদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার ব্যবস্থার জরুরি ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেবার অনুরোধ করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন তারা। একই সঙ্গে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।
এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য এই এবং অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত