নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা
ফয়সল মাহমুদ সান
আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম ও আবু বাকের মজুমদার (বাঁ থেকে)। ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর সোয়া ৪টায় এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

তারা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আহ্বানে এ দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা সকালের মধ্যেই এ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।

আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক।

সমন্বয়করা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকিদের নাম সকালের মধ্যে আমরা ঘোষণা করব। এ সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

পোস্টে আসিফ লিখেন, ঘুমিয়ে যাইনি। আমরা নজর রাখছি। শীঘ্রই ঘোষণা আসছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, বৈসম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। খবরে সারা দেশে আনন্দ উল্লাসে মাতেন সাধারণ জনসাধারণ।

এরপর কোটা আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

বৈঠক করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটক সব বন্দি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হবে।