মঙ্গলবার-বুধবার আবারো অবরোধ
মঙ্গলবার-বুধবার আবারো অবরোধ
ঢাকা: আগামী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি।
কর্মসূচি ঘোষণার সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ পালিত হবে। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।’
এ ছাড়া ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিন শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন তারা। এ সব কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। সাভার থেকে ফিরে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর কবর জিয়ারত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
রিজভী বলেন, ‘সরকার ভেবেছিল হামলা-মামলা ও গ্রেফতার চালিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্তব্ধ করে দেবে। কিন্তু না, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বুক চিতিয়ে আজকের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। তারা সমস্ত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সারাদেশে মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধনে জড়ো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে পুলিশ। শুধু কি তাই? সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। নেতা-কর্মীদের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে, যেন তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া যায়।’
রিজভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিজেদের মতো করার জন্য সরকার দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চায় সরকার। তবে, এবার প্রহসন ও জালিয়াতি করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সরকার। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষকে ভোট থেকে দূরে রেখে জালিয়াতির নির্বাচন করছে সরকার। এত বড় অনাচার পৃথিবীর কোথাও কেউ করেছে বলে জানা নেই। সমস্ত নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় সরকার। মাঝে মাঝে তারা উন্নয়নের মায়াজাল তৈরি করে। জনসমর্থন তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ফলে পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে দেশে পেয়াজের কেজি কত? প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি জানেন? দেশের মানুষ বাঁচল না মরল, সেদিকে তাদের নজর নেই। তাদের নজর অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখল করে রাখার দিকে