ভারতে মোদিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা
ধর্মের নামে ভোট চাইছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমন অভিযোগে আগামী ৬ বছরের জন্য সবধরনের নির্বাচন থেকে মোদিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।
আনন্দ এস জোনধালে নামে একজন আইনজীবী আবেদনটি দায়ের করেছেন। আবেদনে মামলাকারী বলেছেন, ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ভগবান ও উপাসনার স্থানের নামে ভোট চাইছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন। গত ৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে বিজেপির নির্বাচনি জনসভায় মোদির বক্তৃতার উল্লেখ করে তিনি এই আবেদন জানিয়েছেন।
আইনজীবী জোনধালের বক্তব্য, ‘মোদি ভাষণে সেদিন বলেছিলেন, তিনি রামমন্দির তৈরি করে দিয়েছেন এবং কর্তারপুর সাহিব করিডর তৈরি করে দিয়েছেন। গুরুদ্বারে লঙ্গরের রান্নার জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ওপর থেকে জিএসটি তুলে দিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি আফগানিস্তান থেকে গুরু গ্রন্থসাহিব নিয়ে এসেছেন।’
তিনি বলেন, বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের কাছে ‘হিন্দু ও শিখ দেবতা এবং হিন্দু উপাসনালয়ের’ নামে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। ধর্মের নামে ভোট চেয়ে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মোদি।
আবেদনে জোনধালে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুধুমাত্র হিন্দু এবং শিখ দেবতাদের এবং তাদের উপাসনালয়ের নামে ভোট চাইছেন না বরং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও দাবি করেছেন, মোদি মুসলমানদের পক্ষপাতী হিসেবে বিপরীত রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন, যা ঘৃণা সৃষ্টি করে এবং বৈষম্যের প্রচার করে।
এদিকে এখনো পর্যন্ত এই মামলার বিষয়ে মোদি বা তার দল বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।