বাংলাদেশে সহজে ভুয়া ভিসার ব্যবসা জমযামাট ভুয়া ভিসা-টিকিটে কানাডার স্বপ্ন শেষ কুমিল্লার ৭ জনের

বাংলাদেশে সহজে ভুয়া ভিসার ব্যবসা জমযামাট   ভুয়া ভিসা-টিকিটে কানাডার স্বপ্ন শেষ কুমিল্লার ৭ জনের
বাংলাদেশে সহজে ভুয়া ভিসার ব্যবসা জমযামাট   ভুয়া ভিসা-টিকিটে কানাডার স্বপ্ন শেষ কুমিল্লার ৭ জনের
মাসুদ রানা 

ভুয়া ভিসা-টিকিটে কানাডার স্বপ্ন শেষ কুমিল্লার ৭ জনের

কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ

প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসায়ী মো. নেছার আহমেদ। তার প্রতিষ্ঠানে মাঝেমধ্যে লিফলেট ছাপানোর কাজে আসতেন কাজী মো. আনোয়ার হোসেন। এভাবে তার সঙ্গে নেছারের পরিচয়। নিজেকে কে এ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান বলে পরিচয় দিতেন আনোয়ার। একপর্যায়ে নেছার তার সঙ্গে কানাডা যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন। চূড়ান্ত আলোচনা শেষে নেছারসহ কুমিল্লার সাতজন কানাডা যাবেন বলে স্ট্যাম্পে চু্ক্তি করেন। শর্তানুযায়ী আনোয়ারসহ চক্রটিকে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীদের কানাডার ভিসা ও বিমানের টিকিট দেওয়া হয়; কিন্তু প্রতারিত হয়ে তাদের কানাডা যাত্রার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ২১ জুন ভুক্তভোগীদের পক্ষে নেছার আহমেদ রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় চক্রের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আসামিরা হলেন কাজী আনোয়ার হোসেন, বশির মাতুব্বর, রুনা বেগম, সেকান্দর মাতুব্বর ও একরাম হোসেন। দক্ষিণখান থানা পুলিশ বশির মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ডিবি পুলিশ এ মামলার তদন্ত করছে

নেছার আহমেদ প্রথম সময়কে বলেন, ‘মানুষের ঋণের টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে যেতে পারছি না এখন। ব্যাংক থেকে নিজের বাড়ি বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়েছি। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যাংক থেকে নোটিশ দিয়েছে। এখন বাড়িটাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।

কানাডা যাওয়ার ভিসা প্রসেস করার পর ২০২২ সালের ১ মে নেছার আহমেদ তার ভগ্নিপতি রমিজ উদ্দিন ও চাচাতো ভাই রহমত উল্লাহকে নিয়ে কে এ ট্যুর আ্যন্ড ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে আসামি আনোয়ার অন্য আসামিদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করে দেন। এরপর তাদের ইউরোপে লোকজন পাঠানোর ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া ও কয়েকজনের ছবি দেখানো হয়। তাদের কানাডা পাঠিয়েছেন বলে নথিপত্র প্রদর্শন করেন। এরপর ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়। চুক্তিতে কানাডার ভিসা আসার পূর্বে তাদের ৮০ শতাংশ টাকা অগ্রিম প্রদানের প্রস্তাব উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৭ মে নেছার, তার স্ত্রী সালমা বেগম, সন্তান আনাছ, ভাই পেয়ার আহমেদসহ সাতজনের কানাডার ভিসা প্রসেসিং করার চূড়ান্ত আলোচনা হয়। একই বছরের ১০ জুলাই চক্রটিকে প্রথম ধাপে ভিসা বাবদ নগদ ৩০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন ভুক্তভোগীরা। পরে কয়েক ধাপে ব্যাংক হিসাবে আরও ৮৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। চলতি বছরের ৮ মে আসামিরা ভিসা ও অন্যান্য কাগজপত্র প্রদান করেন। গত ১০ মে ঢাকার কানাডা দূতাবাসে গিয়ে ভিসা যাচাই করে সেগুলো জাল বলে জানতে পারেন ভুক্তভোগীরা। বিমানের টিকিট ও ভিসার সঙ্গে অন্য কাগজপত্র যাচাই করে সেগুলোও জাল বলে চিহ্নিত হয়। এরপর তারা জাল ভিসা, জাল বিমান টিকিট ও কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে তাদের অফিসে যান। কিন্তু অফিসে তালা লাগানো দেখতে পান