পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেন এবং এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো: আব্দুল মান্নান, পিএএ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির দীর্ঘ সময়ে অনলাইনে এবং টিভি স্লটের মাধ্যমে পাঠদান চলমান থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ক্লাস করতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের পক্ষ থেকে যতদ্রুত সম্ভব বিটিভির একটি শিক্ষা চ্যানেল চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশ এই করোনার মধ্যেও এগিয়ে চলছে। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনার মধ্যেও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি।’
দেশে লকডাউন, ছুটি, শাটডাউন সবকিছুর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পুরো সরকারযন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে সচল রেখেছেন বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই, তার নেতৃত্বে আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্যপুত্র, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি, তার ধারণা থেকেই আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের চেতনা এসেছে এবং ধন্যবাদ জানাই জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং তার দলকে এটি বাস্তবায়নের জন্য।
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল লিটারেসির বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই আমরা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের জন্য ই-লিটারেসি প্রশিক্ষণ শুরু করবো।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ৭ বিভাগে ৭ জন সাংবাদিককে পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার ২০২১ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
জাতীয় বাংলা দৈনিক জবাবদিহি’র প্রতিবেদক সাদেকুর রহমান, জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’র জসীম উদদীন হারুন, বাংলাভিশন টিভি প্রতিবেদক আল মামুন, আঞ্চলিক দৈনিক সিলেট মিরর প্রতিবেদক শুয়াইবুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের মো: মোস্তাফিজুর রহমান, অনলাইন সংবাদপত্র বাংলানিউজ২৪ প্রতিবেদক সোলায়মান হাজারী এবং নারী সাংবাদিক চ্যানেল আই’র আঞ্জুমান লায়লা পুরস্কার নেন