বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে: বিএনপি
বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে: বিএনপি
বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে বিএনপি বলেছে, বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে। অবৈধ ও ডামি সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে এবং রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্বে শিগগির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। একই সঙ্গে দলটি বলেছে, এ সরকার নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন আদায় করেছে। বিশেষত নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অসম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, নামমাত্র মূল্যে ট্রানজিট সুবিধা, পানি সমস্যার সমাধানহীনতা, গোপন আদানি চুক্তিসহ জাতীয় স্বার্থবিরোধী অজস্র প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। প্রতিবেশী দুটি দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনার উল্লেখ করে দলের স্থায়ী কমিটির পক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়
এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, একদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরম্ভ করে সীমান্তে প্রতিনিয়ত গুলিবর্ষণের মাধ্যমে আমাদের বিজিবি সদস্য ও দেশের জনগণকে হত্যা করা হচ্ছে, আবার পূর্বদিক থেকে মিয়ানমারের পুলিশ ও সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত দু’জন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। রাখাইন থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে সেনা পালিয়ে এখানে আশ্রয় গ্রহণ করছে। এটি নিয়ে শুধু বিএনপি নয়, সবাইকে ভাবতে হবে– কী ঘটতে যাচ্ছে, এর অন্তরালে কী আছে। যার প্রমাণস্বরূপ ওবায়দুল কাদের নিজেও বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় ভারতই আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
একই সঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ এ সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তি চায় দেশের ১৮ কোটি মানুষ। বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমে জনবিদ্বেষী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে এবং দেশে আবারও সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাস, রাষ্ট্রযন্ত্রের একাংশের ধ্বংসযজ্ঞ এবং বিতর্কিত দেশগুলোর হস্তক্ষেপ এই সমন্বিত অপশক্তিকে উপেক্ষা করে জনগণের সমর্থনকে উৎস হিসেবে ধারণ করে বিএনপি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিচল রয়েছে