বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ হলে ভারতের উগ্রবাদীদের জন্য সহায়ক হয়: নাহিদ ইসলাম
মাহফুজ আলম অবশ্য হিজবুত তাহরীর বা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত নন বলে আগেই স্পষ্ট করেছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কলঙ্ক লেপনের একটি প্রচারণা চলছে। বিশেষ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অপপ্রচার সেলগুলো এটা করছে যে আমি ইসলামি বা জঙ্গিবাদী রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম, বিশেষ করে হিজবুত তাহরীর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি যুক্ত ছিলাম না!’
হিজবুত তাহরীর ও অন্যান্য অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর আদর্শের বিপক্ষে ছিলেন এবং এখনো আছেন উল্লেখ করে মাহফুজ আলম ওই পোস্টে আরও লেখেন, ‘আমি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করি নাই। বিশ্ববিদ্যালয়–জীবনের প্রথম বর্ষে আমার কাছে তারা এসেছে এবং তাদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তাদের আদর্শগত লক্ষ্যের সঙ্গে আমি একমত ছিলাম না।’
এ বিষয়ে আজকের আলোচনায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাহফুজ আলম বৈশ্বিক মঞ্চে দাঁড়ালেন এবং আন্দোলনকে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত করালেন, তখন থেকেই এই অপপ্রচার ছড়ানোর বিষয়টি বেশি করে হচ্ছে।
কী উদ্দেশ্যে এসব ছড়ানো হচ্ছে, তা বোঝা দরকার বলে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অভ্যুত্থানকে একধরনের ইসলামি উগ্রবাদের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে একধরনের উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে এবং তাদের হাতেই এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। যেটি একেবারেই সত্য নয়; বরং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং করা হচ্ছে। কারণ আমরা জানি, বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ তৈরি হলে ভারতের যারা উগ্রবাদী রয়েছে, তাদের জন্য সহায়তা হয়।’
ভারতের যারা গণতন্ত্রকামী মানুষ রয়েছেন, তাঁরাও এসবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া গড়তে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদের এ ধরনের প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার), মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) ও ন্যারেটিভের (বয়ান) বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দাঁড়াতে হবে