নির্বিকার আনিসুল হক, উত্তেজিত হাজী সেলিম

নির্বিকার আনিসুল হক, উত্তেজিত হাজী সেলিম

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং পুলিশের সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। এরপর আবার তাঁদেরকে প্রিজন ভ্যানে একে একে আদালত চত্বর থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ফারুক খান ক্রাচে ভর দিয়ে আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক পর্যায়ে তাঁকে বসতে টুল দেওয়া হয়। আজ বুধবার সকালে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ফারুক খান ক্রাচে ভর দিয়ে আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক পর্যায়ে তাঁকে বসতে টুল দেওয়া হয়। আজ বুধবার সকালে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণেছবি: সাজিদ হোসেন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন যখন তাঁদের দুজনকে একত্রে আদালতে তোলা হয়, তখন একদল আইনজীবী তাঁদেরকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মেরেছিলেন। সেদিন দুজনই শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হন। এরপর গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে আসেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু। এই তিনজনও তখন শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এভাবে বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে এসব নেতাদের ভোরবেলা আদালতে তোলা হচ্ছে।

সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নতুন করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে
সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নতুন করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণেছবি: সাজিদ হোসেন

আজ সকালে আদালতের কক্ষে দেখা যায়, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে একজন ব্যক্তি কথা বলছিলেন। তখন একদল আইনজীবী ওই ব্যক্তিকে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটিও হয়। পরে ওই ব্যক্তি বেরিয়ে যান। এরপর এসব নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর তাঁদের আবার আদালতকক্ষ থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আনিসুল হকসহ অন্যদের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়