দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ
দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শনিবার সন্ধ্যায় তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
এর আগে বিচারপতি আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি করার আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময় হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান সৈয়দ রেফাত।
তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সাবেক দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খ্যাতনামা আইনবিদ প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের পুত্র।
এদিকে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারকের মধ্যে ছয়জনই পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে দেশে এক দিনেই আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। তারা আইন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য পাঁচ বিচারপতি হলেন এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
এদিকে ২৫তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। দেশের বাইরেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তার আগে ১৯৮৪ সালে জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত ইশতিয়াক আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। আর মা প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী আইন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্রগুলো প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।
সদ্যসাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগ দেন। তিনি ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি