আফগানিস্তানে বিচারবহির্ভূত হত্যার নিন্দা জানিয়েছে ২২ দেশ
আফগানিস্তানে বিচারবহির্ভূত হত্যার নিন্দা জানিয়েছে ২২ দেশ
আফগানিস্তানে তালেবান নিরাপত্তাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নসহ ২২টি দেশ। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তালেবানদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার তাগিদ দেয়। আফগানিস্তান পরিস্থিতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিবৃতি দেয় ২২ দেশ।
যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, উত্তর মেসিডোনিয়া, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউক্রেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালেবানের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে দেশগুলো উদ্বিগ্ন। এতে বলা হয়, ‘আমরা মনেকরি যে, তালেবান নিরাপত্তাবাহিনী দ্বারা কথিত পদক্ষেপগুলো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তালেবানের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার বিপরীত।’
বিবৃতিতে প্রাক্তন আফগান নিরাপত্তাবাহিনী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তালেবানদের দ্বারা ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা কার্যকর করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘটনাগুলো অবিলম্বে ও স্বচ্ছভাবে তদন্ত করা উচিত, দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে, আরও হত্যা ও গুম বন্ধ করার জন্য এসব পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান করতে হবে।’
বিবৃতিতে দেশগুলো জানায়, তারা তালেবানদের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখবে এবং এর উপর ভিত্তি করে তালেবানদের ব্যাপারে সিদ্ধ
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান। তালেবানের তরফ থেকে পাল্টা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানবাধিকার সংগঠনটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগগুলো সত্য নয়। তবুও ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান যেকোনো ধরনের তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য যে, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে উগ্রবাদী গোষ্ঠী তালেবান। ওই দিন দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আফগানিস্তান থেকে কয়েক হাজার মানুষ পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়। তালেবানরা অবশ্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক সরকারের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। তবে তালেবানরা ক্ষমতায় বসার পরও সাবেক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ধরপাকড়, হত্যা ও গুম চালিয়ে যাচ্ছে