আওয়ামীলীগের এম পিদের মুখুর ভাষা কি অবস্থা আরো বলো ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না
জাইমা ইস্যুতে প্রতিমন্ত্রী বললেন— ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে
তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করে অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। নারী অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ, বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ, এমনকি সরকার দলীয় অনেক নেতাকর্মীও বলছেন— এমন ‘অশালীন’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রতিমন্ত্রীর। তবে প্রতিমন্ত্রী নিজে বলছেন, এই ইস্যুতে ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কথা বলেন চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে। ওই সময়ই জাইমা রহমানকে নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। মুহূর্তেই তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে অভব্য, শিষ্টাচার বহির্ভূত, নারীবিদ্বেষী, কুরুচিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই। সরকারের দায়িত্বশীল একটি পদে থেকে এমন বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়— এমনটি বলেছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও। সে কারণেই বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রতিমন্ত্রী যেন ক্ষমা চান— এমন দাবি উঠেছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চায় সারাবাংলা। প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এমন দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম।’
প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সমালোচকদের আমি বলব, আসসালামু ওয়ালাইকুম। আপনি ভালো থাকেন, সুখে থাকেন, শান্তিতে থাকেন। আপনাদের এই গালিগালাজ আমাকে কোনোরকম ক্ষতি করতে পারবে না।’
নিজ দলের অনেক নেতাকর্মীও তো আপনার সমালোচনা করছেন, তাদের কী বলবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘উনারা তো মহান নেতা। উনারা নিজেদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়েও বড় নেতা মনে করেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার চেয়েও উনারা বড় নেতা। তাদের সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করার মানসিকতা আমি রাখি না, মন্তব্য করার দরকারও নেই।’ বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা মুরাদ হাসানের জন্য নতুন নয়। ক’দিন আগেই এক সমাবেশে বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরার দাবি জানিয়ে নিজ দলের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ও রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারে না— এমন মন্তব্যও তিনি আরেক অনুষ্ঠানে করেন। সবশেষ সমালোচনার মুখে পড়লেন জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পেশায় চিকিৎসক এই রাজনীতিক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি