বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় রাহুলের ক্ষোভ
প্রথম সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানীতে বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়। দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে বিজয় মশাল প্রজ্বলিত হয়। এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা খাতায় তিনি লেখেন, ‘সমগ্র জাতির পক্ষে আমি ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের স্যালুট করছি। শৌর্য ও বীর্যের অতুলনীয় গাথা যাঁরা রচনা করেছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের জন্য দেশের নাগরিকেরা গর্বিত।’
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের ত্যাগের জন্য দেশ আজীবন ঋণী থাকবে। শহীদদের বীরত্ব প্রতিটি প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। দেশ তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।’
গত বুধবার কংগ্রেস আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে একই কথা বলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনে কংগ্রেস সভানেত্রী একটি কমিটি গঠন করেছিলেন, অ্যান্টনি সেই কমিটির প্রধান। এক বছর ধরে কমিটি বিভিন্ন রাজ্যে এ বিষয়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
বুধবারের অনুষ্ঠানে এ কে অ্যান্টনি বলেন, ‘১৯৭১–এর যুদ্ধজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের পত্তনের পর অটল বিহারি বাজপেয়ীর মতো নেতা ইন্দিরা গান্ধীকে ‘‘দুর্গা’’ বলে অভিহিত করেছিলেন। অন্য অনেক বিরোধী নেতা ইন্দিরাকে ‘‘শক্তি’’ রূপে বর্ণনা করেছিলেন।
অথচ এক বছর ধরে এত অনুষ্ঠানে একবারের জন্যও এই সরকারের কারও মুখ থেকে ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে প্রশস্তিমাখা একটি বাক্য শুনতে পেলাম না! এটা আমাকে ব্যথিত করেছে।’ ওই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসে প্রধান সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, ১৯৭১ সাল ছিল ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের সবচেয়ে সেরা বছর।
বৃহস্পতিবার ভারতের সংসদের উভয় কক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় সেনানীদের সাহস ও বীরত্বের উল্লেখ করা হয়।
দেরাদুনের সভায় রাহুল বলেন, মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে পাকিস্তান পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেটা সম্ভব হয়েছিল গোটা দেশ এক ছিল বলে। আজ দেশের শাসক তাদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দেশকে বাঁটোয়ারা করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়াচ্ছে