মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না : শেখ হাসিনা

মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না : শেখ হাসিনা
মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না : শেখ হাসিনা
প্রথম সময় প্রতিবেদক;

মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না : শেখ হাসিনা

মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ধর্মের নামে এ দেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। এ দেশের মাটি সব ধর্মের মানুষের। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনী ফায়দা লুটবে; এটা এ দেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না

দিন দুপুরে গণভবন প্রাঙ্গণে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অংশ নেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা। এ সময় বিশ্বের সব খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের বড় দিনের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশেও কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের অপচেষ্টা করছে। মানুষ হত্যা করে কোন ধরনের রাজনীতি তারা করছে? এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা কাজ করি এ দেশের মানুষের জন্য। আমরা মানবতার কথা বলি। যিশু খ্রিস্ট মানবতার কথা বলেছেন। মহানবী (সা.) মানবতার কথা বলেছেন। আমরাও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করছি। সব ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করছে এই দেশে হাজার বছর ধরে। আমরাও এই নীতি মেনে চলছি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।

তিনি বলেন, ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই।

এ সময় বিরোধী দল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কী অর্জন করছে তারা এটাই প্রশ্ন। আমরা চাই সংঘাত বন্ধ হোক। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনী ফায়দা করবে এটা এ দেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মানবতার কল্যাণ করাই ধর্মের শিক্ষা।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বড়দিন উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে খ্রিস্ট ধর্ম অনুসারীদের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি