বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম না—বললেন মালালা
বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম না—বললেন মালালা
কখনো বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন না বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। মালালা বলেন, বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম না, পিতৃতন্ত্র ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিয়ে নিয়ে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম।
‘অ্যান্ড্রু মার শো’ নামে বিবিসির অনুষ্ঠানে মালালাকে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন, কী কারণে আপনার অবস্থান বদলাল?’ এর জবাবে মালালা বলেন, ‘আমি বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম না, বিয়ে নিয়ে আমার উদ্বেগ ছিল। এটা সত্য যে বাল্যবিবাহ, বিচ্ছেদ ও ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা দেখা বিশ্বের অসংখ্য মেয়ের মধ্যে এ উদ্বেগ রয়েছে।’
গত জুনে ব্রিটিশ সাময়িকী ‘ভোগ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছিলেন, ‘আমি বুঝি না মানুষকে বিয়ে করতে হবে কেন। যদি আপনি একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী করতে চান, তার জন্য কেন বিয়ের দলিলে সই করতে হবে, কেন এটা শুধুই একটা পার্টনারশিপ হতে পারে না?’
এ সাক্ষাৎকারের ছয় মাস না পেরোতেই গত সপ্তাহে বিয়ের পীড়িতে বসেন মালালা। তার এমন মন্তব্যের পর বিয়ের খবরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানি তালেবানের হামলার শিকার হয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। তালেবান জঙ্গীরা ২০১২ সালে মালালাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে মাথায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। মূলত মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে গুলি করেছিল তালেবান। মারাত্মক আহত হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন মালালা। সুস্থ হওয়ার পর পাকিস্তানি এই নারী অধিকার কর্মী যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে রাজনৈতিক আশ্রয় পান। মালালার বয়স এখন ২৪। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিন
২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সে মালালা সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার লাভ করেন। তার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল জেতেন ভারতের কৈলাস