বাংলাদেশে স্কুলের নবম শ্রেণির বইয়ে নারীদের পোশাক বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানা!

বাংলাদেশে  স্কুলের  নবম শ্রেণির বইয়ে নারীদের পোশাক বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানা!
বাংলাদেশে  স্কুলের  নবম শ্রেণির বইয়ে নারীদের পোশাক বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানা!
বিশেষ প্রতিনিধি

নবম শ্রেণির বইয়ে নারীদের পোশাক বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানা!

নতুন শিক্ষাক্রমের নানা ভুলভ্রান্তি ও অসামঞ্জস্যতা নিয়ে এবার নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইয়ের একটি অধ্যায়ে দেওয়া কিউআরকোডে নারীদের পোশাক বিক্রির একটি দোকান প্রদর্শন করছে। পর্তুগীজ একটি দোকানের ছবিতে নারী মডেলরা পোশাক প্রদর্শন করছেন। যা অনেকটাই বিব্রতকর বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলেছে, পোডাক্টের ডিজিটাল প্রমোশনের অংশ বোঝাতে কিআরকোড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেই কিউআরকোড দেওয়া হয়েছিলো সেটা ছিলো স্পোর্টস আইটেম বিক্রির দোকান। কিন্তু সম্প্রতি সেটা পরিবর্তন হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন

সূত্র জানায়, নবম শ্রেণির ‘জীবন ও জীবিকা’ বইয়ের ৩৮ নম্বর পাতায় ‘ধাপ-৬: ব্যবসার ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং বা বিপণন পরিকল্পনা’ নামক অধ্যায়ে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রার জন্য কীভাবে ব্যবসায় শুরু করতে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই পাতার ‘চিত্র ২.১: বিভিন্ন মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপনের নমুনা’র চিত্র তুলে ধরে সেখানে নিত্যদিন স্টোরের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ভাইবার, লিংকডইন এবং পিনটারেস্টের লোগো দেওয়া হয়েছে। এই লোগো এবং নিত্যদিন স্টোরের মাঝখানে একটি কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে যেটা স্ক্যান করলে ট্রাক্স নামক পর্তুগিজ একটি নারীদের পোশাক বিক্রির ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে নারী মডেলরা পোশাক পরা বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে।

নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন মো. মুরশীদ আকতার, মোসাম্মত্ খাদিজা ইয়াসমিন, হাসান তারেক খাঁন, মোহাম্মদ কবীর হোসেন, মো. সিফাতুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূঁঞা।

জানতে চাইলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিজিটালি কিভাবে প্রোমোশন করতে হয় সেটা বোঝাতে কিআরকোডের ছবি যুক্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু আমরা যখন ওই কিউআরকোডটি নিয়েছিলাম, সেটা ছিলো তখন স্পোর্টস আইটেম বিশেষ করে জার্সির দোকান। কিন্তু তারা এখন রিসেন্টলি ব্যবসা চেঞ্জ করেছে। এখন আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি।

আগামী বছরের বইতে এই কিআরকোড বাদ দেওয়া হবে। আর এ বছরও এটা নিয়ে কি করা যায় সেটা আমরা ভাবছি