নতুন বছরকে বরণ করল কিরিবাতি-নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
নতুন বছরকে বরণ করল কিরিবাতি-নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির নতুন বছর ২০২৪ সালকে প্রথম দেশ হিসেবে বরণ করেছে কিরিবাতি। কিছু সময় পরেই নতুন বছরকে বরণ করেছে নিউজিল্যান্ড। এই দুই দেশকে অনুসরণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। আতশবাজি-লেজার শোয়ের মতো নানা আয়োজনে এসব দেশে বরণ করা হয়েছে নতুন বছরকে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবর বলছে, নতুন বছরকে বরণের সবচেয়ে জমকালো আয়োজন হয়ে থাকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। তবে তাদের থার্টি ফাস্টের রাতটি ছিল বৃষ্টিস্নাত। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই সবাই জড়ো হন অকল্যান্ডের স্কাইসিটিতে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহর শুরুর আগেই স্কাইসিটির স্কাই টাওয়ারে বড় মনিটরে শুরু হয় কাউন্টডাউন। রাত ঠিক ১২টার বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি আর জমকালো লেজার শো শুরু হলে সবাই উল্লাসে মেতে ওঠে নতুন বছরের গানে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের খবর বলছে, সিডনি-মেলবোর্নের মতো বড় বড় সব শহরেই ছিল বর্ষবরণের জমকালো আয়োজন। মেলবোর্নের ইয়ারা ও ডকল্যান্ডসে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। স্থানীয় সময়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পার হয়ে গেলেই সমস্বরে শুরু হয় কাউন্টডাউন। আতশবাজির সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন সবাই। টানা আট মিনিট ধরে চলা আতশবাজির সঙ্গে গানের তালে তালে সবাই নেচে নতুন বছর বরণ করে নেন।
নতুন বছর বরণ করতে অন্য দেশগুলোতেও আইকনিক স্থানগুলোতে জড়ো হতে শুরু করেছে মানুষ। ইংল্যান্ডের লন্ডন, জার্মানির বার্লিনের মতো শহরগুলোতেও রয়েছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। কনসার্টও আয়োজন করা হয়েছে অনেক শহরে। তবে অকল্যান্ডের মতো লন্ডনেও থার্টি ফার্স্টের রাতটি বৃষ্টিতে ভিজছে বলে জানিয়েছেন স্কাই নিউজ।
ভৌগলিক অবস্থানের পার্থক্যের কারণে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অনুযায়ী একেক দেশে নববর্ষ শুরু হবে একেক স্থানে। গ্রিনিচ মান সময় থেকে বাংলাদেশ সময়ে রূপান্তর করলে নিউজিল্যান্ডে বর্ষবরণ শুরু হয় ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায়। অস্ট্রেলিয়া নতুন বছরে প্রবেশ করে সন্ধ্যা ৭টায়। জাপান এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন বছর শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়