ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সুন্দরবনে মৃত হরিণের সংখ্যা বেড়ে ৫৭

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সুন্দরবনে মৃত হরিণের সংখ্যা বেড়ে ৫৭
খুলনা অফিস

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৫৭টি হরিণ এবং চারটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ৩৯টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের পর সুন্দরবন থেকে মোট ১০০টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিঠা পানির শতাধিক পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।

া্সনাি

খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর পর্যন্ত ৯৬টি হরিণ এবং চারটি শূকর মিলিয়ে সুন্দরবনের ১০০টি বণ্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেসে আসা ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করা করা হয়েছে। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

াস্র

বনসংরক্ষক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে