ইউক্রেনে ত্রিমুখী আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া
ইউক্রেনে ত্রিমুখী আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া
স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথ— ইউক্রেনে ত্রিমুখী হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ, খারকভ, চেরনোবিলসহ বিভিন্ন এলাকা এই হামলার শিকার হয়েছে। সমরবিদরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশে এটিই কোনো শক্তির সবচেয়ে শক্তিশালী হামলার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) হামলা শুরু করে রাশিয়া। টিভিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণের পরপরই এই হামলা শুরু হয়। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুরুতে কিয়েভ ও খারকভে শুরু হয় রুশ হামলা। এসময় এই দুই শহরের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল ছুড়তে থাকে রাশিয়া। পরে বেলারুশ সীমান্ত দিয়েও ইউক্রেনের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর ও অ্যাজোভ সাগর দিয়েও রাশিয়া হামলা করতে থাকে।
আরও পড়ুন- প্রথম সময়
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, ইউক্রেনে হামলা করা ছাড়া তার হাতে আর কোনো উপায় ছিল না। তবে ইউক্রেনে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। এই হামলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে রাশিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটির সংসদে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের এমন জঘন্য ও বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। লন্ডনে রাশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক ও পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেন তিনি।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নাগরিকদের প্রতি দেশকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের জন্য অস্ত্র ধরতে ইচ্ছুক, এমন সবার হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, আমরা আজ কেবল মিসাইল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি আর যুদ্ধবিমানের ঝনঝনানিই শুনছি না, এটি আজ ‘আয়রন কার্টেন’ ভেঙে পড়ার শব্দও শুনতে পাচ্ছি। রাশিয়া যে সভ্য একটি বিশ্ব থেকে ছিটকে পড়েছে, সেটিই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এরই মধ্যে তারা ইউক্রেনের স্থলভাগের ৮৩টি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী চেরনোবিলের পারমাণু কেন্দ্র দখলে নিয়েছে। কিয়েভের হস্টোমেল বিমানবন্দরটিও তাদের কব্জায় চলে গেছে।
এছাড়া ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সামি ও কারকিভ এবং দক্ষিণাঞ্চলের ওদেসা এলাকাতেও ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভের অধিবাসীরা শহর ছাড়তে থাকলে কিয়েভ থেকে বের হওয়ার পশ্চিমের সড়কটি সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে।
আরও