সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ‘দুর্নীতি’ অনুসন্ধানে দুদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ‘দুর্নীতি’ অনুসন্ধানে দুদক
 নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ‘দুর্নীতি’ অনুসন্ধানে দুদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যরা মিলে বিভিন্ন প্রকল্পের ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপুল এই টাকার মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রয়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকা।

মঙ্গলবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আকতার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক জানায়, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন। আর শেখ হাসিনা ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেজা ও বেপজা এর ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।

রিটের শুনানি নিয়ে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার লোপাট করেছেন। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে এসব প্রতিবেদন করা হয়