রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মুহিবুল্লাহ। কে বা কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ৮ আর্মার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান জানিয়েছেন, আজ (বুধবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোহিঙ্গা নেতা ও শিক্ষক মুহিবুল্লাহ এফডিএমএন ক্যাম্প-১ ইস্টের ব্লক-ডি ৮-এ অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে দ্রুত কুতুপালংয়ে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (মেডিসিন স্যান ফ্রন্টিয়ার্স, এমএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন
জানা যায়, এশার নামাজের পর নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এসময় অজ্ঞাতনামা বন্ধুকধারীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। দুর্বৃত্তরা পাঁচ রাউন্ড গুলি করলে তিন রাউন্ড গুলিই তার বুকে লাগে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মুহিবুল্লাহকে এমএসএফের হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর তার লাশ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু এলাকার লংডাছড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তার বাবা মৌলভি ফজল আহমদ। ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের যে ঢল নেমেছিল, ওই সময়ই মংডু টাউনশিপের সিকদার পাড়া থেকে কক্সবাজার আসেন তিনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে কাজ করেছেন তিনি