বড়দিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে তরুণীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ।
সাবরিনা আক্তার
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় বড়দিন উৎসবের অনুষ্ঠানে গিয়ে এক চাকমা তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর অভিযোগ, একজন ধর্ষণ করলেও তার সহযোগী ছিলেন আরও তিনজন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী তরুণীর স্বজনরা। ধর্ষণের শিকার তরুণীর এক ভাই জানান, রোববার পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন দেখতে সদর উপজেলার বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় গিয়েছিল দুই চাকমা তরুণী। তারা সম্পর্কে পিসি (১৮) ও ভাতিজি (১৬)। রাতে চার তরুণ ওই দুজনকে ভয় দেখিয়ে জোর করে ধরে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে ভাতিজিকে কিছু না করলেও পিসিকে ধর্ষণ করেন এক তরুণ, বাকি তিন তরুণ তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আজ (সোমবার) স্থানীয় কারবারি রাজেশ কারবারি আমার মেয়ে ও মামাতো বোনের (ধর্ষণের শিকার তরুণী) সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তারা দুজন জানিয়েছে, আমার বোনকে একজন ধর্ষণ করেছে, তিনজন সহযোগীর ভূমিকায় ছিল। আপাতত স্থানীয় কারবারির মাধ্যমে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাই।’ তবে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের রাজেশ কারবারি অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, একজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে এবং আরেকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে এবং আর আরেকজনের হাতাহাতি হয়েছে, ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে।’ জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ চাকমা বলেন, ‘ভাইস চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ঘটনার কথা বলেছে। সে এবং তার পরিবার এ ঘটনায় বিচার চায়। আমরা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যেন আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়।’ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন, ‘আমরাও ঘটনা শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলের দিকে গিয়েছে। এদিকে জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল সালাম প্রথম সময় কে বলেন, ‘ভাইস চেয়ারম্যান আমাদের ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গেও কথা বলেছি। তবে ভিকটিম ও তাদের পরিবার থানায় আসেনি। জানতে পেরেছি, আগামীকাল সকালের দিকে তারা জেলা সদরের দিকে যেতে পারেন। ঘটনাস্থল ছিল সদর উপজেলায়। তাই তারা সদরের দিকে যেতে পারেন।