বিশ্বের কয়েক জন বিতরে আমার জন্ম দেশের ড ইউনুস
প্রথম সময় ডেস্ক;
বাংলাদেশের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোটামুটি গত কয়েশ বছরে জন্ম নেওয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি কত বড় মাপের ব্যক্তিত্ব সেটা বোঝার ক্ষমতাও ৯০ ভাগ বাঙ্গালীর নাই। বাঙ্গালীর আরো ৩০/৪০ বছর লাগবে প্রফেসর ইউনুস কোন মাপের মানুষ এটা বুঝতে।
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনুসের একটা পরিচয়, সব না। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক তিনটে পুরস্কার হল:
১। নোবেল।
২। অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড।
৩। মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড।
ইতিহাসে এই তিনটে পুরস্কারই পেয়েছেন এমন মানুষ মাত্র ১২ জন। তার মধ্যে প্রফেসর ইউনুস একজন।
মেসি হলেন বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তারকার একজন, আক্ষরিক ভাবেই মেসি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন প্রফেসর ইউনুসের সাথে ছবি তুলতে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বোচ্চ সম্মানজনক প্রতিযোগিতা হল আলিম্পক গেমস। ধনী দেশগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে অলিম্পিকের হোস্ট হতে। আলিম্পক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন (প্রধান অতিথি) আলিম্পক মশাল বাহক। ২০২০ সালের জাপান আলিম্পকের মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ইউনুস। ভাবা যায়!?
২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের মূল থিম করা হয়েছে প্রফেসর ইউনুসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। ফ্রেঞ্চদের মত নাকউঁচু জাতির গর্বের অলিম্পিক গেমসের ওয়েবসাইটের টাইটেল পেজে একজন ব্রাউন মুসলমান ড. ইউনুসের ছবি!! ফ্রেঞ্চদের সম্পর্কে যারা টুকটাক খবর রাখেন তারা বুঝবেন ব্যাপারটা কতটা আনইউজুয়াল।
প্রফেসর ইউনুসের ব্রেইন চাইল্ড ক্ষুদ্র ঋন, সামাজিক ব্যবসা, এবং থ্রি জিরো, এই তিনটে তত্ত্বই গ্লোবাল কমিউনিটি গ্রহন করেছে। এই তিনটে তত্ত্বের তিনটেই যে খুব ভাল, আমি এমনটা মনে করি না। তবে পয়েন্ট হল সারাবিশ্ব এটাকে গ্রহন করেছে। সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি জিরো— এই দুইটা খুবই জনহিতকর তত্ত্ব, এটা নিয়ে বিতর্ক নেই।
বর্তমানে জীবিত লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোন তালিকাতে প্রফেসর ইউনুস টপ ৫ এর মধ্যে থাকবেন। অনেকে তাকে ১ নম্বরে রাখবে। একজন বাঙ্গালী দুনিয়ার লিডিং স্কলার, এটা ইতিহাসে কখনো ঘটে নাই। আবার কবে হবে কেউ জানে না।