তিনি বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন... তার সৃষ্ট বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এটাই আমার লক্ষ্য। আমরা চাই দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, আশ্রয়হীন থাকবে না। অন্তত এটুকু করলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।’
রোববার সকালে ৫৩ হাজারের বেশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়া হয়েছে।
এর আগে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে গত জানুয়ারিতে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রভাব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আমরা করোনার টিকা এনেছি, আরও আনবো। স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি যেন কেউ লঙ্ঘন না করে।’
এসময় সরকার প্রধান বলেন, ‘সবাই মাস্ক পরবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। আমরা অনেককেই হারিয়েছে। আর কোনো প্রিয়জনকে হারাতে চাই না। নিজে ভালো থাকুন, আরেকজনকে সুরক্ষা দিন।’
প্রধানমন্ত্রী উপহার এসব জমির দলিলে মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে করে দেয়া হয়েছে। তাদের নামে স্থায়ী দলিলের পাশাপাশি নামজারি করে খাজনা দাখিলাও দেয়া হয়েছে।
সেমিপাকা এসব ঘরে আছে দুটি রুম, একটি বড় বরান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়াও আত্মনির্ভরশীল করতে ওইসব পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের আলোকে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা বাড়ি ও ব্যারাকে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজকের আশ্রয়ণের মধ্য দিয়ে গত ছয় মাসে মোট এক লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাহবুব হোসেন বলেন, ‘একসঙ্গে এত মানুষকে জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর দেয়া পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল