ঢাকার অঙ্গীকারে আস্থা দিল্লির
জাতীয় নির্বাচন
ঢাকার অঙ্গীকারে আস্থা দিল্লির
পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভারতের কোনো বাড়তি উদ্বেগ বা মাথাব্যথা নেই। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর ভারতের আস্থা আছে। প্রতিবেশী বন্ধুদেশটি নির্বাচনে এ দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে চায়।
রোববার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিন
গত শুক্রবার দিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) অংশ নেন মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।
ওই বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব জানান, আগামী বছর দুদেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের নির্বাচন নিয়ে তাদের যে অভিমত তা কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টু প্লাস টু ফরমেটের পর তারা বলেছে, ভারত কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলবে না। তারা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন চায়। আমাদের অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার অঙ্গীকারের ব্যাপারে তারা আস্থা রাখে। নির্বাচন ঘিরে যে কোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসফের নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে কেউ মারা যাক তারাও (ভারত) চায় না। সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে আগামী মাসে ঢাকায় আসবেন।
নির্বাচন নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন টানাপোড়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ছুটিতে গেছেন। প্রায় একই সময়ে ছুটি নিয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত ইমরান আগের মঞ্জুরিকৃত ছুটি নিয়েছেন। নির্বাচনের অনেক আগেই তিনি ওয়াশিংটনে ফিরবেন। রাষ্ট্রদূত ছুটিতে গেলেও জরুরি প্রয়োজনে প্রযুক্তির সুবাদে তাকে যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
পি কে হালদার ইস্যুতে আগ্রহী নয় দিল্লি : সচিব জানান, নয়াদিল্লিতে বৈঠকে ভারতের আদালতে বিচারাধীন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় এ প্রসঙ্গে বেশি আলোচনা করতে চায় না ভারত। বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র পাল্টাপাল্টি বক্তব্য অনভিপ্রেত: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে ওয়াশিংটন-মস্কোর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমাদের দেশে কী হচ্ছে-না হচ্ছে, সেটি নিয়ে আমরা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ নিজেদের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা করছে, তা আমাদের জন্য অনভিপ্রেত বলা যায়। এ ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে চাই না।