জি পি A 5 পাওয়া বড় কথা না মানুষের মতো মানুষ হওয়া টা হচ্ছে বড় কথা।
সাবরিনা আক্তার
মহামারি করোনার পর প্রথমবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। রোববার প্রকাশিত ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। অর্থাৎ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৬৮৭ জন। দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পর্যায়ে পা রাখতে যাওয়া এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এই হিসাবে পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ.
সবাই প্রতিষ্ঠিত হতে চাই! শুধু A+ কি প্রতিষ্ঠিত বুঝায়?
মানুষ সব সময় চাই প্রতিষ্ঠিত হতে সমাজের কাছে নিজেকে সম্মানীত করে তুলতে, কিন্তু অনেক মানুষ আছে তারা প্রতিষ্ঠিত কি ওটায় বুঝে না ।
স্বাবাবিক ভাবে মানুষ প্রতিষ্ঠিত হতে হলে আগে লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে। আর এখানে লেখা পড়া থেকে দুই দিকে চিন্তা করা যাই।
(১) আস্তে আস্তে লেখা পড়া শেষ করতে করতে একটা সময় সে থমকে যাই। ধরা যাক থমকে যাওয়ার জায়গা টা হাসি এক্সাম এর সময় এখানে অনেক ভালো স্টুডেন্ট আছে যারা খারাপ রেজাল্ট করে বসে আবার অনেক খারাপ স্টুডেন্ট আছে সারা বছর বই না ধরেও রেজাল্ট এর সময় ওরা ভালো করে। যারা ভালো করে তারা মজায় থাকে আর যারা বা যাদের রেজাল্ট খারাপ হয় তাদের ফ্যামিলি সমাজ আত্মীয় স্বজন সবাই যখন রেজাল্ট এর কথা জিজ্ঞেস করে তখন ওদের মনের মধ্যে অনেক জড় বয়ে যাই। যখন শুনে রেজাল্ট খারাপ করছে তখন সবাই খোটা দিতে কথা বলতে আর চিন্তা ভাবনা করে ন। অনেকে রেজাল্ট খারাপ হলে আত্মহত্যা করে এক মাত্র সবাইর কথা শুনে ডিফারেশন এ গিয়ে।
(২) যারা সবকিছু উত্তিন্ন হয়ে ভার্সিটি শেষ করে গ্রাজুয়েশন কমপ্লেট করে যখন যাই চাকরি খুঁজে তখন ওখানে চাকরির পুরোনো অভিজ্ঞতা লাগে অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি হবে না। আর চাকরি না পাওয়ায় সেই ফ্যামিলির কাছে সমাজের কাসে শুনতে হয় ছেলে বেকার। কেউ বলে না যে সব এক্সামে পাস করছো। সবাই বলে ছেলে প্রতিষ্ঠিত না (বেকার)।
এতে কি ভুজা যাই চাকরি থাকলেই মানুষ প্রতিষ্ঠিত ! আর এই চাকরি করতে মানুষ কে এত এত পড়তে হয় ? না!
চাকরি করলে মানুষ টাকা পাই আর এতে প্রতিষ্ঠিত ! অরে এটাতে যদি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে ওই ফেল করা, রেজাল্ট খারাপ করা, আত্মহত্যা করা ছাত্রটাকে কেন এত কথা শুনতে হয়েছে? কেন সবাই ওরে না বুজায় উল্টা বোকা জোকা করছে ? সমাজ কি বুজতে পারতোনা আসলে মানুষ প্রকৃত পক্ষে তোমার টাকা থাকলে তোমাকে প্রতিষ্ঠিত বলবে! রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তো কি হয়েছে অন্য অনেক পথ আছে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তুমি ১টা পথে ব্যাথ্য হয়েছো অন্য উপায় দেখো। সমাজ কি পারতো না ওই ছাত্রটাকে উৎসাহ দিতে।
প্রতিষ্ঠিত মানে শুধু পড়া লেখা না প্রতিষ্ঠিত অনেক দিক আছে পড়া লেখা তার মধ্যে ১টা অন্যতম দিক। আর পড়া লেখা মানেই কি শুধু A+ রেজাল্ট ভালো করা না পড়া লেখা হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের অংশ। পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের কাজ শেখা অনেক যরূরী যেটা কেউ ছাত্রদের বলে না। ১জন ছাত্র পড়ালেখা শেষ করতে করতে ২৪/২৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি ও হয়। যদি পড়ালেখা শেষ করতে এত বছর পার হয়ে যাই তাহলে কাজ শিখবে কি বছরে ?
ছাত্র ছাত্রীদেরকে কখনোই এইসব বুজানো হয়না! শুধু সবার ১টাই চাওয়া এ+ পাইতে হবে।
এই এ+ এর চিন্তা করতে করতে সবাই আসল নিজের শখ এর কোথায় ভুলে যাই!
অনেকের ছবি আঁকতে ভালো লাগে, অনেকের গান গাইতে, আবার অনেকের বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করতে, আবার কারো কারো কম্পিউটারে প্রিল্যান্সিং নিয়ে বা বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে উৎসাহিত বেশি।
কিন্তু আমরা কি করছি ওদেরকে ওই সব কিচু থেকে বঞ্চিত করছি নিজের ইচ্চাকে ওদের উপর চাপিয়ে দিয়ে।
আসুন আমরা এক হয় সমাজের সকম শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত কি তা বুজায়। আর যারা খারাপ রেজাল্ট করে তাদেরকে কথা না শুনিয়ে তাদের পাশে দাড়ায় তাদের সাহসদি এবং সামনে আগাতে উৎসাহিত করি। আর যেন খবরের কাগজে লেখা না হয় রেজাল্ট খারাপ এর জন্য আত্মহত্যা।
GPA 5 পাওয়া বড় কথা না মানুষের মতো মানুষ হওয়া টা হচ্ছে বড় কথা।
প্রথম সময়ের পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।