ড, ইউনুসের। অফিস দখল নিয়ে যা বলছেন আমেরিকা
প্রথম সময় ডেস্ক:
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। আলোচনা হয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যু নিয়ে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এদিন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘সোমবার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির একটি দল নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস দখল করার চেষ্টা করে। আপনি জানেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার একতরফাভাবে সংসদ, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এখন গ্রামীণের মতো সংস্থাকেও নিয়ন্ত্রণে নিল। এই পরিস্থিতিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ চালানো হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগের সঙ্গে একমত, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। যা বাংলাদেশের আইনের শাসন সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
মিলার আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করি, কারণ আপিল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে