অন্তর্বর্তী সরকার যথাশিগগির সম্ভব তাদের সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে

অন্তর্বর্তী সরকার যথাশিগগির সম্ভব তাদের সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে
অন্তর্বর্তী সরকার যথাশিগগির সম্ভব তাদের সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে
প্রথম সময় ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকার যথাশিগগির সম্ভব তাদের সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এই কাজের জন্য তাদেরকে সময়-সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি তারা যথাশিগগির সম্ভব ও স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমান সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন, তার জন্য একটি কমিটির নামও ঘোষণা করেছে।

এই ভাষণে তিনি মোটামুটিভাবে তার লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেছেন।’

জনপ্রশাসন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার তো সম্পূর্ণ নতুন। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনে এতদিন ধরে আওয়ামী লীগ যেটা করেছে, এটাকে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে এখানে বেশিরভাগই তাদের মতাবলম্বী লোকদের সেখানে প্রমোশন দিয়েছে। ফলে, এখানে শৃঙ্খলা আনতে সময় লাগবে।

এখানে নতুন করে লোক নিয়োগ করে তো সম্ভব না। যা আছ, তা দিয়ে কাজ করতে হবে। সেই ধৈর্য আমাদের ধরতে হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে।

একইসময়ে শিল্প ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। দেশের মানুষকে এই চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সংস্কারে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের যে সংস্কার সেটি দ্রুত শেষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। এই সরকার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এসেছে, আশা করি তারা জনগণের আশা-আশঙ্কা প্রতিফলন ঘটাবে।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। আমাদের স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়ার জন্য এই দিনটিকে গুরুত্ব সহকারে পালন করার। সেই কারণে আমরা ২ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। কর্মসূচির মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশে গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন ও নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের নিয়ে সমাবেশ করা হবে। সেই সমাবেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আর ১৫ তারিখ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ হবে