যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো— জানালেন মন্ত্রী

যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো— জানালেন মন্ত্রী
যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো— জানালেন মন্ত্রী

যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো— জানালেন মন্ত্রী

ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে। সরাসরি যেহেতু ক্লাস হচ্ছে না, তাই যেখানে সম্ভব অনলাইনে ক্লাসে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটছে। এটি যেকোন সময় নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। তার পরপরই প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করি। এভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাঠের চিত্র যা, তার ওপর ভিত্তি করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যদিও আমরা কোচিং সেন্টারগুলোকে সে অর্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধরি না। তবুও সেখানে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ হয়। সেগুলোও বন্ধ থাকবে। এছাড়া, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়গুলো খোলা থাকবে এবং সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলবে। কারণ আমাদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা ছিল বাধ্য না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে। এখন যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে শিক্ষা জীবন চালিয়ে নিতে হবে, করোনাও মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন অনলাইন ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। তবে সবাই যেহেতু অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, তাই অনলাইনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্টও দেওয়া হবে। এখনই যেখানে যেখানে সম্ভব অনলাইন ক্লাস কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট বা উভয়ই যতদূর সম্ভব আমরা সেই চেষ্টাটা করবো।’

‘আমরা আপাতত ২ সপ্তাহ সশরীরে ক্লাস নিষেধ করেছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো পরিস্থিতি। তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো’, বলেও জানান মন্ত্রী। এছাড়াও তিনি জানান, এবারও যথাসময়ে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে