নিপুণের প্যানেলের কাণ্ডারি কি পাওয়া গেল?
সাবরিনা আক্তার
কয়েক দিন ধরেই চলচ্চিত্রপাড়া সরগরম। কারণ, ঘনিয়ে এসেছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এরই মধ্যে তারকারা কে কার প্যানেলে যাচ্ছেন, কে কার সঙ্গে ভোট করছেন সেসব নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তবে বেশি আলোচনা চলছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের প্যানেল না গোছানো নিয়ে। কারণ তাঁর প্যানেলের আগের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আর নির্বাচনে আসবেন না। এরপর নাম এসেছিল শাকিব কান, অনন্ত জলিলসহ অনেক তারকার। কিন্তু নিপুণের প্যানেলে নির্বাচন করতে কেউই রাজি হননি। শেষমেশ জানা গেলো নিপুণের প্যানেলে সভাপতি পদে লড়ছেন রুপালি পর্দার একসময়ের জনপ্রিয় তারকা মাহমুদ কলি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। জানা গেছে, এবার নিপুণদের সভাপতি হয়ে নির্বাচন করবেন চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের জনপ্রিয় অভিনেতা মাহমুদ কলি। এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, নিপুণ আক্তারের প্যানেলের সভাপতির পদে নির্বাচন করবেন তিনি। একটি বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। আজ রবিবার (১৭ মার্চ) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা নিপুণের। প্রসঙ্গত, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকের নায়ক। তাঁর পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্র নির্মাতা আজিজুর রহমান বুলির ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুনশিয়ানা। মাহমুদ কলির প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে দুটি সিনেমা মুক্তির মুখ দেখেনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি। অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর তিনি একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে এর পরের বছরে তিনি অভিনেতা মিজু আহমেদকে নিয়ে নতুন প্যানেলে সভাপতি পদে প্রার্থী হন এবং নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদ কলি।