প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে দুপুরের খাবার বিতরণ
‘বন্যার পানিতে ১৫ দিন ধরে ঘর ডুবে আছে। এই কয় দিনে চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন পার করেছি। কিন্তু এক বেলা ভাত জোটেনি। তাই এ ভাত তৃপ্তিভরে খাব।’ লক্ষ্মীপুরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পাওয়া শাহেদা বেগম প্রথম আলো ট্রাস্টের রান্না করা খাবার পেয়ে এভাবেই তৃপ্তি প্রকাশ করলেন।
গতকাল রোববার সুপারস্টার গ্রুপের সৌজন্যে তিনিসহ আরও ৪০০ দুর্গত মানুষ রান্না করা খাবার পেয়েছেন। রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের নোমানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে এই খাবার বিতরণ করা হয়। দুপুর ও রাত—দুই বেলার খাবার পেয়েছেন ঘরবাড়ি হারানো এই দুর্গত ব্যক্তিরা। রান্না করা খাবারের মধ্যে ছিল সাদা ভাত, মুরগির মাংস ও আলুর ঝোল, মসুর ডাল ও সবজি।
লক্ষ্মীপুরে গতকাল বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমেছে ধীরগতিতে। তবে এখনো দুর্গত এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের অনেকেই দিন কাটাচ্ছেন শুকনো খাবার খেয়ে। অবশ্য প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শনিবারও বন্যাদুর্গত অঞ্চলের ৯১০ বানভাসিকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। এসব ছাড়াও গত এক সপ্তাহে বন্যাদুর্গত আরও ৭৫০টি পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, মসুর ডাল, মোমবাতি, চিড়া, মুড়ি, গুড়, দেশলাই, খাওয়ার স্যালাইন, বোতলজাত পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ কার্যক্রমের সহযোগিতায় ছিল লক্ষ্মীপুর বন্ধুসভা। পাশাপাশি ঢাকা থেকে বন্ধুসভার সাবেক নির্বাহী সভাপতি শাকিল মাহবুব, ইভেন্ট বিভাগের আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক আতিকুর রহমান, জুবায়ের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ফেনী সদর ও ফুলগাজী উপজেলার ১১টি এলাকার ১০২ পরিবারের হাতে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।
আর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি জেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের দুটি গ্রামে ১১০ পরিবারের মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ বিতরণ করেন বন্ধুসভার বন্ধুরা।