বাংলাদেশে ফিরতে ড. ইউনূসকে নিয়ে যে খোলা চিঠি জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন
বাংলাদেশে ফিরতে ড. ইউনূসকে নিয়ে যে কাণ্ড করে বসলেন তসলিমা নাসরিন
তাসলিমা নাসরিন-ডঃ ইউনূস
নিজের দেশে ফিরতে চাইছেন ‘নির্বাসিত’ লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এই জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে খোলা চিঠি দিলেন তসলিমা। এর আগে তসলিমাকে দেশে ফিরে আসার জন্য বলেছিলেন ইউনূস। সেই কথা মনে করিয়ে দিতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছেন তসলিমা।
‘লজ্জা’ উপন্যাস লেখার জন্যই বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। সেই উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ’ করা হয় বাংলাদেশে। এই সঙ্গেই ১৯৯৪ সালের অগস্ট মাসে দেশ থেকে ‘বের করে’ দেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বাংলাদেশে ফেরার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছিলেন তসলিমা। কিন্তু তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
চলতি বছর অগস্ট মাসেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। সেখানে এখন ক্ষমতায় মুহাম্মদ ইউনূস। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত প্রকাশ করেছেন তসলিমা। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সেখানের সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনাও করেছেন তিনি। আর, এই সময়েই তিনি ইউনূসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর কথা।
ফেসবুকে লেখা পোস্টে তসলিমা জানান, সম্ভবত ২০০৫ সালের ফ্রান্সের দোভিলে একটি অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে তাঁর সঙ্গে কথা হয় ইউনূসের। সেই সময়ে দেশে ফিরে আসার জন্য তসলিমাকে বলেছিলেন ইউনূস। তাঁকে যে দেশে ফিরতে দেওয়া হয় না সেই কথাও ইউনূসকে জানান তসলিমা।
ওই পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, ইউনূস তাঁকে বলেছিলেন, ‘যেতে দেয় না আবার কী? ওটা তো আপনার দেশ, আপনার দেশে আপনার যাওয়ার, থাকার অধিকার আপনার জন্মগত। আপনাকে বাধা দেওয়ার রাইট কোনও সরকারের নেই।’ তাঁর পাসপোর্ট রিনিউ করা হয়নি। তারপরেও ‘দেশের মেয়েকে’ নিজের দেশে ফিরে আসার জন্য বলেছিলেন ইউনূস। তসলিমা জানান, তিনি যাতে বাংলাদেশে ফিরতে পারেন সেই চেষ্টা ইউনূস করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। ইউনূস কী আদৌ সেই চেষ্টা করেছিলেন সেটাও জানতে চেয়েছেন তসলিমা