বাংলাদেশে এক মেয়ে কে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে ঘেরের বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ
আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে নারীকে ঘেরের বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে এক নারীকে (৩৫) আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে একটি ঘেরের বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ষাটগম্বুজ এলাকা থেকে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
আটক যুবকের নাম রবিউল ইসলাম (৩৫)। তাঁর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাগেরহাটের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, ‘আমার বাবা মারা গেছেন। মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। এখন চাকরিটি নেই। আশ্রয়ের আশায় দেড় মাস আগে বাগেরহাটের হজরত খানজাহান (রহ)-এর মাজারে এসেছিলাম। কখনো মাজারের পাশে, কখনো মাজার মসজিদের বারান্দায় থেকেছি। রোববার সন্ধ্যায় মাজার এলাকা থেকে কিছু লোক আমাকে তাড়িয়ে দেন।’
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আশ্রয়ের আশায় ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনে যান। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে জলিল নামের একজনের বাসায় পাঠান। সেখানে আকবর নামের এক ব্যক্তি আমাকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি সেখান থেকে রাস্তায় চলে আসেন। তখন রবো নামের এক অটোরিকশাচালক তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে অটোতে নির্জন একটি ঘেরের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তিনজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে নানা আকুতি-মিনতির পর তাঁরা তাঁকে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের একটি নির্জন জায়গায় ফেলে
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই নারী। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি কাকে, কীভাবে বলব বুঝতে পারিনি। একপর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ আমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। আমাকে হাসপাতালে ওষুধ, খাবার কিনে দেওয়ারও কেউ নেই।’
ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর অভিযোগ, তিনজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।