বন্যাকবলিত এলাকায় ৩৬ জনের মৃত্যু
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৭ জুন থেকে ২০ জুন—চারদিনের পরিসংখ্যান দিয়েছে কন্ট্রোল রুম। তাতে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৭৩ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ৪ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১ হাজার ৯৭৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সিলেট জেলাতেই মারা গেছে ১০ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় মারা গেছে পাঁচজন। বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়।
সিলেটের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এ বিভাগে মারা গেছে ১৫ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় মারা গেছে পাঁচজন। চারজন মারা গেছে নেত্রকোনা জেলায়। জামালপুর ও শেরপুর জেলায় মারা গেছে তিনজন করে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি। রংপুর জেলার লালমনিরহাট জেলায় একজন এবং কুড়িগ্রাম দুইজন মারা গেছে।
৩৬ জনের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে, ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। সাপের কামড়ে মারা গেছে একজন। বাকি ছয়জনের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মৃত্যু ও সংক্রমণের কারণ হিসেবে ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, বজ্রপাত, সর্প দংশন, পানিতে ডোবা, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহকে চিহ্নিত করেছে। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে সিলেট বিভাগে ও জেলা হিসেবে সুনামগঞ্জে।
সিলেট বিভাগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ১৭৩ জন। এর মধ্যে শুধু সুনামগঞ্জ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১