সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০টি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও এলএসডি নেশা করার জন্য ব্লটিং কাগজ এবং কিছু পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে তারা। পরীমণির বাড়িতে প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাসি চালানোর পর সন্ধেবেলায় তাকে বাড়ি থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। শুধু পরীমণিকেই নয়, অভিনেত্রীর সঙ্গে আটক করা হয়েছে তার গাড়ির চালক এবং বাড়ির এক কর্মীকেও।
সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি পুলিশের রিপোর্টে লেখা কিছু বক্তব্যকে তুলে ধরলেন নেটমাধ্যমে। পুলিশের কথা অনুযায়ী পরীমণির কী কী অপরাধ, তার একটি তালিকা সাজালেন লেখিকা। আটটি পয়েন্টে লেখা পরীমণির অপরাধগুলো হল, ‘পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে স্মৃতিমণি ওরফে পরীমণি সিনেমায় রাতারাতি চান্স পেয়ে গিয়েছে।
তার বাড়িতে বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। তার বাড়িতে একখানা মিনি বার আছে। পরীমণি মদ্যপান করে, এখন সে মদে আসক্ত। নজরুল ইসলাম নামের এক প্রযোজক, যে তাকে সাহায্য করেছিল সিনেমায় নামতে, মাঝে মধ্যে পরীমণির বাড়িতে আসে, মদ্যপান করে। ডিজে পার্টি হতো পরীমণির বাড়িতে। আইস-সহ মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে (এগুলোর চেহারা অবশ্য দেখানো হয়নি)। মদ খাওয়ার বা সংগ্রহ করার লাইসেন্স আছে পরীমণির, তবে তার মেয়াদ পার হয়ে গেছে, এখনো রিনিউ করেনি সে।’
তসলিমার দাবি, এগুলো অপরাধের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু তাতেও অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করা হল! লেখিকা প্রতিবাদ জানিয়ে লিখলেন, ‘সত্যিকার অপরাধ খুঁজছি। কাউকে কি জোর করে মাদক গিলিয়েছে, প্রতারণা করেছে মেয়েটি, কাউকে খুন করেছে? অপরাধ খুঁজছি। নাকি মেয়ে হওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ?